প্রতিনিধি ৪ মার্চ ২০২৫ , ৭:০৬:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজধানীসহ সারাদেশে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে পাঁচ হাজার ৪৯৩ জন চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এই তথ্য জানান।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, পিএসসির মাধ্যমে তিন হাজার ৪৯৩ জন চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এর অতিরিক্ত হিসেবে আমরা আরও ২০০০ চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রামের মানুষ চিকিৎসা পায় না, তাদের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, কয়েক দিন আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা সৌদি আরব সফর করেন। সেখানকার সবচেয়ে বড় কোম্পানি ‘আরামকো’ বাজার মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে এলএনজি সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে।
রিজওয়ানা জানান, বিশেষ পরিবারের সদস্যদের নামে অনেক প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছিল, সেগুলো বাতিল করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ উপদেষ্টার পরিষদের সভায় দুটি প্রতিষ্ঠানের নামকরণ বাতিল করা হয়েছে।
মোহাম্মদপুরে উভয় পক্ষ পুলিশের সামনে আপসনামায় স্বাক্ষর করায় সেটাকে চূড়ান্ত বলে বিবেচনা করতে হচ্ছে জানিয়ে রিজওয়ানা বলেন, যেহেতু এখনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফেরত আসেনি সেহেতু কোনো কোনো জায়গায় এমন মব জাস্টিস ও মোরাল পুলিশিংয়ের ঘটনা ঘটছে। সরকার বারবার অবস্থান স্পষ্ট করেছে মব জাস্টিস বা মোরাল পুলিশিংয়ের অবস্থান এদেশে নেই।
রিজওয়ানা বলেন, কোনোভাবেই নারীর প্রতি সহিংসতা বা এ জাতীয় আচরণ সরকার সমর্থন করে না। এটা আগেও স্পষ্ট করেছি। আবারও ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে আবারও আমাদের বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছি।
উপদেষ্টা বলেন, মব জাস্টিস বা মোরাল পুলিশিং- এগুলোর কোনো স্থান বাংলাদেশে নেই। এগুলো ঘটছে কিন্তু যখনি ঘটছে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। মোহাম্মদপুরের ঘটনায় যেহেতু উভয়পক্ষ আপস নামায় স্বাক্ষর করেছে সেহেতু আর পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না।
কিন্তু ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে এ ধরনের আপস মীমাংসা কতটা আইনসিদ্ধ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নির্ভর করবে অপরাধের মাত্রার ওপর। এখানে যেহেতু দু’পক্ষই বলেছে যে তারা এটাকে ফৌজদারি মনে করছেনা এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঘটেছে। তারা উভয় পক্ষ নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করে নিয়েছে। সে কারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।