বরিশাল

স্বরূপকাঠিতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

  প্রতিনিধি ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৪:৪২:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

পিরোজপুর প্রতিনিধি:

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির আটঘর-কুড়িয়ানা ইউপি চেয়ারম্যান শেখর কুমার সিকদারের ছেলে শক্তি সিকদারের (১৯) মাদক সেবন ও স্কুলছাত্রীকে জড়িয়ে ধরার ছবি ও ভাগিনা প্রান্ত বড়ালের (১৮) মাদক সেবনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইসবুকে) ভাইরাল হয়েছে। চেয়ারম্যানের পরিবারের লোকজনের এ ধরনের অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এলাকার শান্তি শৃংখলা নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন।

 

চেয়ারম্যানের পরিবারের লোকজনের এহেন কর্মকান্ডে জড়িত থাকার প্রতিবাদে এলাকাবাসী সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে মঙ্গলবার কুড়িয়ানা বাজারের প্রধান সড়কে বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে আধঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধনে ওই ইউনিয়নের নানা শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ নেয়। মনববন্ধন শেষে কুড়িয়ানা বাজারস্থ আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা শংকর প্রসাদ হালদার, মো. হাফিজুর রহমান, তাপশ মজুমদার, উপজেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল ইসলাম ও সুব্রত চক্রবর্তী প্রমুখ। বক্তারা চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের লোকজনের দুর্নীতি, সন্ত্রাস, ঘুষ বানিজ্য সহ মাদকের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সরকার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 

এসব অভিযোগের ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান শেখর কুমার সিকদার ভাগিনার মাদক সেবনের কথা স্বীকার করে বলেন আমার প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্র করে ভাগিনাকে মাদকের সাথে সম্পৃক্ত করেছে এবং আমার ছেলে বর্তমানে ভারতে থাকে তার বিরুদ্ধেও মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছে। তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অন্যসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে নেছারাবাদ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমিও লোকমুখে শুনেছি, আমাদের তদন্ত চলছে। মাদকের যারাই জড়িত হবে সে যেই হোক তাকে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবেনা। উল্লেখ্য আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শেখর কুমার সিকদারের ছেলে শক্তি সিকদারের মাদক সেবন ও স্কুলছাত্রীকে জড়িয়ে ধরার ছবি ও ভাগিনা প্রান্ত বড়ালের (১৮) মাদক সেবনের ২২ সেকেন্ডর একটি ভিডিও গত কয়েকদিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইসবুকে) ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই এলাকায় চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের লোকজনের নানা ধরনের অপকর্মের সমালোচনা শুরু হয়েছে।