প্রতিনিধি ৯ মে ২০২০ , ৪:১৯:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ
নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি : শেরপুরে নতুন ধান উঠতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চালের দাম কমতে শুরু হয়েছে। করোনা ভাইরাস দেখা দেওয়ার আগে যেখানে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হতো ৪৪ টাকা। তা করোনা সংক্রান্ত সময়ে আরো দুয়েকটাকা বেড়ে যায়। চিকন চাল আটাশ বাইশ মুড়ি, ছাব্বিস ও অন্যান্য উফশি জাতীয় চিকন চাল যেখানে বিক্রি হতো ৪৬টাকা প্রতি কেজি।
বতর্মানে নতুন ধান উঠার শেরপুর,নকলা, ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী, নালিতাবাড়ী বাজারে বিক্রি হচ্ছে। মোটা চাল ৩৫ টাকা কেজি, চিকন উফসি জাতীয় ৩৬, ৩৮ টাকা কেজি। এতে মোটা কমছে ৪ টাকা ও চিকন কমেছে ৬ টাকা প্রতি কেজিতে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শেরপুরের উপ–পরিচালক জনাব ড. মুহিত কুমার জানান, শেরপুরে এবার লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে বোরো আবাদ ৫ লাখ ৭৯ হাজার মেট্রিক টন ধান, তা বাস্তবায়ন হয়েছে এবং চাল হিসেবে উৎপাদন হবে ৩ লাখ ৬৯ হাজার মেট্রিকটন ইতি মধ্যে খাদ্য বিভাগ ধান চাল ক্রয়, অভিযান সম্পন্ন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শেরপুরে ধান ক্রয় করা হবে ১২ হাজার ৩৮১ মেট্রিকটন,চাল ২৫ হাজার ৬২ মেট্রিকটন ।
গত এক সপ্তাহ আগে নকলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক লুৎফর রহমান মিল মালিক সমিতির সভাপতি সম্পাদকদের নিয়ে সভা করেছেন। এবার প্রতি কেজি ধান ২৬ টাকা ও ৩৬ টাকা ধরে চাল কিনবে সরকার।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার জানান, জেলায় ধান ১২ হাজার ৩৮১ মেট্রিক টন, চাল ২৫ হাজার ৬২ মেট্রিক টন ক্রয় করা হবে। এই ক্রয় অভিযানে কোন দূর্নীতি সহ্য করা হবে না। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক লুৎফর রহমান বলেন, আমাদের করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় জেলা উপজেলা প্রশাসন খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস, কৃষক ও মিল মালিকরা জেলাসহ সারাদেশে খাদ্য সরবরাহ ঠিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন জেলায় যথেষ্ট খাদ্য মজুদ রয়েছে। আশা করা যায় শেরপুর জেলায় খাদ্য ঘাটতি হবে না। আমাদের শেরপুরে চাহিদা রয়েছে প্রতিদিন ২৫শ মেট্রিক টন, উৎপাদন তার চেয়ে আরো ১০গুণ বেশি।