বাংলাদেশ

করোনাকালে বাংলাদেশের অর্থনীতি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভালো

  প্রতিনিধি ৫ ডিসেম্বর ২০২০ , ১২:১১:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক: করোনাকালে বাংলাদেশের অর্থনীতি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভালো অবস্থানে। তবে দারিদ্র্যের সংখ্যা বাড়ছে, এটি হতাশার। ৪০ ভাগ মানুষের হাতে টাকা নেই। নগদ টাকার প্রবাহ না বাড়াতে পারলে বিপর্যয় দেখা দেবে। এমন কথা বলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ড. ইব্রাহিম খালেদ। তিনি বলেন, একটি বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে আমরা জীবন পার করছি। পৃথিবী কোথায় গিয়ে থমকে যাবে, তা বলার সময় আসেনি। অথবা পৃথিবীর গতি কী হবে তাও বলা যাচ্ছে না। মানুষ মহামারি মোকাবিলা করছে বেঁচে থাকার জন্যই। আর অর্থনীতিকেও গতিশীল রাখছে বাঁচার জন্যই।

তিনি বলেন, ভারতের তুলনায় এখানকার মাথাপিছু প্রবৃদ্ধি বেড়েছে এ বছর। কিন্তু এর ভিন্ন আলোচনাও আছে। প্রথমত, ভারতে বিপুল জনগোষ্ঠী। দ্বিতীয়ত, সেখানে অতিধনীর সংখ্যাও যেমন আছে, অতিগরিবের সংখ্যাও তেমন আছে। যে কারণে গড় করলে ভারতের সূচক নিম্নগামী হয়। বাংলাদেশেও তাই। দক্ষিণ এশিয়ায় মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার মাথাপিছু আয় সবচেয়ে বেশি। আয় বেশি ও জনসংখ্যা কম থাকার কারণে এই দেশ দুটি এগিয়ে। তবে করোনাকালে তাদেরও থমকে যেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, রেমিটেন্স ও রিজার্ভে বাংলাদেশ যে রেকর্ড গড়েছে, তা সুখের খবর দিচ্ছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে এটি ক্ষণস্থায়ীও হতে পারে, যদি না আমরা প্রবাসী শ্রমিকদের বাজার প্রশস্ত করতে না পারি।

ইব্রাহিম খালেদ বলেন,  আমাদের জন্য আরেকটি বিপদের কথা হচ্ছে, দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। জাতিসংঘ বলছে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে দারিদ্র্যতার হার দাঁড়িয়েছে ৩৯ শতাংশ। করোনার আগে ছিল ২০ শতাংশ। এই সূচক অবশ্যই আগামীর জন্য চ্যালেঞ্জের। দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনতে সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। না হলে করোনার প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by