প্রতিনিধি ১২ মে ২০২০ , ৮:১১:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ
আগৈলঝাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধিঃ করোনাভাইরাস উপলক্ষে বরিশালের উজিরপুর কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় ৫ হাজার শ্রমিকের মানবেতর জীবন যাপন করছে। দেশের উন্নয়নের ভাগ্যের চাকা যাদের হাতে তারাই আজ অর্ধাহারে অনাহারে দিনযাপন করছে।
মঙ্গলবার উজিরপুর উপজেলা মাহেন্দ্রা, টেম্পু, মিশুক, ইজিবাইক, ভাড়ায় চালিত মটোর সাইকেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শিপন মোল্লা ও রিক্সা–ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কামাল হোসেন সবুজ তাদের শ্রমিকদের নিয়ে খাদ্যসহয়তা না পাওয়ার অভিযোগ করলেন স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে।
উজিরপুর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শিপন মোল্লা বলেন, আমার সংগঠনে এই উপজেলায় নয়টি ইউনিয়ন পরিষদ ও একটি পৌরসভা মিলে ৪ হাজারের অধিক প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক রয়েছে। প্রায় ২ মাস লগডাউনের কারণে তাদের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ যাবত সরকারি পর্যায় সর্বোচ্চ দুইশতাধীক শ্রমিককে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আর শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে ব্যক্তিগতভাবে ১শত ৫০ জনকে ৫ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা রিক্সা, ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কামাল হোসেন সবুজ জানান, উপজেলায় রিক্সা, ভ্যান চালকরা অত্যন্ত হতদরিদ্র। করোনা ভাইরাস উপলক্ষে কর্মহীন হয়ে পড়ে। তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে দূর্বিসহ জীবন যাপন করছেন। অভাব তাদের জীবনকে তারা করে ফিরছে। এ যাবৎ সরকারী পর্যায় বিচ্ছিন্ন ভাবে সর্বোচ্চ শতাধিক রিক্সা চালককে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
বামরাইল ইউনিয়ন শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি খোকন হাওলাদার জানান, ইউনিয়নে প্রায় দুইশতাধিক শ্রমিক রয়েছে। এ যাবত সরকারিভাবে ১৫ জনকে এক প্যাকেট করে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।
ধামুরার ইজিবাইক ড্রাইভার ফজলু মোল্লা, শাহিন বামরাইলের মাহেন্দ্র ড্রাইভার মারুফ, আবুল কাসেম অটো ড্রাইভার মতিউর রহমান, রাজিব, জয়নাল, পৌর এলাকার রিক্সা চালক সিদ্দিক, সাকরালের আল–আমিন, শিকারপুরের কাওছার জানান এ যাবৎ সরকারিভাবে কোন ত্রাণ সহায়তা তাদের ভাগ্যে জোটেনী।
এছাড়া কর্মহীন হয়ে পড়া সেলুন ব্যবসায়ী নরসুন্দর সমিতির সদস্য উপজেলার সুভাষ শীল, ধামুরার হরলাল, বামরাইলের শঙ্কর চন্দ্র শীল তারাও কোন খাদ্য সামগ্রী না পেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় রাজমিস্ত্রী ও কাঠ মিস্ত্রীরাও মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এব্যাপারে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণতি বিশ্বাস বলেন, আমরা প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বর, পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরদের মাধ্যমে অসহায় হয়ে পড়া কর্মহীনদের তালিকা করে ত্রাণ সামগ্রী পৌছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি কিছু লোক বাদ পড়ে থাকে তাদেরকেও ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।