প্রতিনিধি ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৪:৪৮:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ
মো. রাহুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা :
গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের হাসেম বাজার থেকে ঘাগোয়া ইউনিয়নের রুপার বাজার পর্যন্ত পাকা রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। যার কারণে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে চারটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের। দীর্ঘদিন থেকে কোন মেরামত না করায় কার্পেটিং (পিচ) উঠে গিয়ে বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই রাস্তাটি দিয়ে খোলাহাটি, ঘাগোয়া, গিদারী, কামারজানী, এই চারটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করে। রিকশা-ভ্যানযোগে এক কিলোমিটার রাস্তা যেতে লাগে প্রায় ৭ থেকে ৮ মিনিট। দুই বছরেরও বেশি সময় থেকে রাস্তাটির এই বেহাল দশা হলেও রাস্তাটি মেরামতে নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।
রাস্তার বেহাল দশার কারণে আরও বেশি বিপাকে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কৃষি জমি থেকে উৎপাদিত ফসল পরিবহনে বেশি টাকা গাড়ি ভাড়া দিতে হয়। এতে করে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এছাড়া যানবাহন চলাচল করার সময় সমস্যায় পড়তে হয় চালকদের। সরেজমিনে গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে রাস্তাটি ঘুরে দেখা গেছে, হাসেম বাজার থেকে রুপার বাজার পর্যন্ত রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং (পিচ) উঠে গেছে। ফলে চলাচলে মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
অপরদিকে রুপার বাজার থেকে তালতলা বাঁধের মাথা পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তাটিও চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পরেছে। ঘাগোয়া ইউনিয়নের আদর্শপাড়া গ্রামের আহসান হাবীব শামীম বলেন, রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে চলাচলে আমাদেরকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ১০ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগছে ২০ মিনিট। আর যাত্রাপথে রিকসা-ভ্যানের যন্ত্রাংশ ভেঙে ঘটছে দুর্ঘটনা। মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে খুব দ্রæত রাস্তাটি মেরামত করা প্রয়োজন।
মহুড়িপাড়া গ্রামের অটোরিকসা চালক মো. মজনু মিয়া বলেন, রাস্তার বেহাল দশার কারণে রিকশা চালিয়ে শান্তি পাই না। সময় বেশি লাগে। আর প্রায় প্রতি সপ্তাহেই রিকশা ঠিকঠাক করতে হয়। এর পেছনেই অনেক টাকা ব্যয় হয়।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোল্লা আবুল কালাম আজাদ মুঠোফোনে বলেন, রাস্তাটি প্রস্থ আর বাড়ানো হবে না। রাস্তার যে মাপ আছে শুধু তার উপরে নতুন করে কার্পেটিং (পিচ) করা হবে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব প্রকল্প অফিসে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে কাজ শুরু করা হবে।