রাজশাহী

বগুড়ার নন্দীগ্রামে অবৈধ বালু উত্তোলন

  প্রতিনিধি ৯ মার্চ ২০২১ , ৮:৪০:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি:

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় নাগরনদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। বালু উত্তোলনের ফলে নদী-তীরবর্তী আবাদি জমি ও রাস্তা ভাঙনের হুমকিতে পড়ছে। বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় লোকজন তাঁদের বিরুদ্ধে কোথাও কোনো অভিযোগ দিতেও সাহস পায়না।

জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নে সীমান্তবর্তী নাগর নদীর জোরদাহ ও পবনাতলা এলাকায় বুলবুল হোসেন, জয়নালসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী শ্রমিক দিয়ে বালু ও মাটি কেটে অবাধে হাজার হাজার টাকার অবৈধ ব্যবসা করছেন। আর বালু বা মাটি বিক্রির জন্য তারা সরকারের কাছ থেকে কোনো অনুমতিও নেননি। বালু কাটার ফলে ওই এলাকার আবাদি জমি হুমকিতে পড়ছে।

 

প্রতিদিন ট্রাকে ট্রাকে অবৈধভাবে বালু বহনের কারণে রাস্তার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। বালু ব্যবসায়ীরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় লোকজন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতেও সাহস পাচ্ছেন না।

অবস্থা অনেকটা মগের মুল্লুকের মতো। যার যা খুশি করছে। কিন্তু কারও যেন কিছু বলার নেই। এই বালু উত্তোলনের মাধ্যমে একদল মানুষ অবৈধভাবে টাকা কামাচ্ছে, আর অন্যদিকে আবাদি জমি ও রাস্তা ভাঙনের হুমকিতে পড়ছে। গুটিকয়েক লোকের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এভাবে মানুষের সর্বনাশ মেনে নেওয়া যায় না।

কৃষক বাছেদ আলী বলেন, কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না বালু ও মাটি উত্তোলন। এ বালু দিয়ে রাস্তাসহ বিভিন্ন ভরাট কাজের ব্যবসা করা হচ্ছে। নাগর নদীতে গভীর করে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের ফলে প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে তার খেসারত দিতে হয় নদী ধারের জমির মালিকদের। ক্ষতি হয় ফসলি জমির। অনেক গাছপালা যায় নদীগর্ভে।

এলাকাবাসী দাবী করছেন, অবিলম্বে এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আর প্রশাসনের কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থেকে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে কি না, সেটা তদন্ত করার দাবী জানান।

বালু ব্যবসায়ী বুলবুল হোসেন বলেন, বালু আমার মতো অনেকেই তো উত্তোলন করছে। মাত্র কয়েক গাড়ি বালু বিক্রি হয়েছে। এসব বালু বিভিন্ন রাস্তার কাজে বিক্রি হয়।

ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারী বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়ে উপজেলা পরিষদের আইনশৃঙ্খলা মাসিক মিটিংয়ে কথা বলেছি। বালু উত্তোলনের ফলে নদী-তীরবর্তী আবাদি জমি ও রাস্তা ভাঙনের হুমকিতে পড়ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোছা. শারমিন আখতার বলেন, এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে আলোচনা করা হয়েছে। শিগগিরই মাটি ও বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content