দেশজুড়ে

আগৈলঝাড়া যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যা, স্বামীসহ গ্রেফতার ৩

  প্রতিনিধি ২৬ মে ২০২০ , ৬:১৫:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি : বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়েনে থানেস্বরকাঠী গ্রামে  সোমবার দিবাগত গভীর রাতে যৌতুকের জন্য স্বামী ও তার স্বজনদের মুক্তি রানী বৈদ্য (১৯) কে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। নিহতের পরিবার আগৈলঝাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পাষন্ড স্বামী ও তার বাবা-মাকে গ্রেফতার  করা হয়েছে। 

নিহতের স্বজন ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়েনে থানেস্বরকাঠী গ্রামে সুমন বৈদ্যর কন্যা মুক্তি রানী (১৯) একই গ্রামের খোকন সমদ্দারের ছেলে মিঠুন সমদ্দার(২৫)এর সাথে গত দশ মাস পূর্বে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই ব্যবসা করার জন্য মিঠুন ও তার পরিবারের লোকজনে মুক্তির পরিবারের কাছে মোটা অংকের টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলো। এজন্য প্রায়ই মুক্তি রানীকে শারিরিক নির্যাতন করা হতো।

নিহতের বাবা সুমন বৈদ্য জানান, সোমবার রাতে দাবিকৃত যৌতুকের টাকার জন্য তার মেয়েকে অমানুষিক নির্যাতনের পর মুখে বালিশ চাঁপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে গলায় গামছা পেঁচিয়ে মুক্তির লাশ ঝুলিয়ে রাখে। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে তারা থানা পুলিশ নিয়ে রাতেই লাশ উদ্ধার করেন।

আগৈলঝাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আফজাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা মঙ্গলবার সকালে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তাৎক্ষনিক পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিহতের স্বামী মিঠুন ও তার বাবা খোকন সমদ্দার ও মাতা রীনা রানী সমদ্দারকে গ্রেফতার করে ওইদিন দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করাহয়েছে। পাশাপাশি নিহতের লাশের ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

এব্যপারে বরিশাল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ: রব হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, একটি হত্যা মামলা হয়েছে। মামলা তদন্ত চলছে। অপরাধিকে সর্বচ্চ শাস্তি পায় সে জন্য আমারা আদালতে লিখবো।
 

আরও খবর

Sponsered content