রংপুর

গাইবান্ধায় কুন্দারপাড়ার চরে ভাঙন, শতাধিক পরিবার দিশেহারা

  প্রতিনিধি ৩০ মে ২০২১ , ৪:২৩:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

মো. রাহুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা:

বর্ষার শুরু না হতেই গাইবান্ধার কামারজানিতে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের বিপাকে প্রায় শতাধিক পরিবার। ভাঙনের মুখে ১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ১টি বাজারের প্রায় ৫৫টি দোকানঘর। সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প মুজিব কেল্লায় থাকা ৫৫টি পরিবার এখন বাস্তুহারা। তাদের কাছে পৌঁছায়নি কোন সরকারি সহায়তা। দুর্ভোগে দিন পার করছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, হঠাৎ করেই গত সপ্তাহ খানেক ধরে ব্রক্ষ্মপুত্র নদ এবং তিস্তা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। নদী তীরবর্তী নিচু চরাঞ্চলের জমিতে পানি উঠতে থাকে। পানি বৃদ্ধি কম হলেও তীব্র স্রোতের কারণে কামারজানি ইউনিয়নের ৫, ৬,৭ এবং ৮ নং ওয়ার্ডের কুন্দেরপাড়া, বাটিকামারী, কড়াইবাড়ী এবং খারজানি গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে।

আবাদি জমি এবং ঘর-বাড়ি ভেঙে যাওয়া মানুষ কষ্টে দিন পার করছেন। ভাঙনের ফলে মানুষ ঘর-বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিতে রুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

কেউ কেউ তুলনামূলক নিচু জমিতে সরিয়ে নিলেও আগামীতে বন্যার সময় তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। অসহায় পরিবারগুলোর কেউ কেউ অন্যের ধার করা জমিতে অস্থায়ীভাবে ঘর স্থাপন করছেন।

আবার কেউ কেউ চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা বাৎসরিক ভাড়া হিসেবে নিয়েও ঘর তুলছেন। এমন পরিস্থিতিতে এসব ঘর এবং দোকান ভাঙা পরিবার বর্তমানে আবাসন, নিরাপদ পানি এবং পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থার দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

কামারজানি ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মো. শিপন মিয়া জানান, খারজানিতে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের মুজিব কেল্লায় আশ্রয় নেওয়া ৫৫টি পরিবার এখন বাস্তুহারা। নতুন করে ঘর স্থাপন করার মত অর্থ না থাকায় পরিবারগুলো এখন দুশ্চিন্তায় দিন পার করছে। জরুরীভাবে সরকারি বেসরকারি সহযোগিতা ছাড়া তাদের পক্ষে এমন পরিস্থিতির উত্তরণ সম্ভব নয়।

ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জাকির জানান, অসময়ে কেউ ধারনা করতে পারেনি এমন কম পানিতে নদী ভাঙন হবে। তাই কোন ধরনের কোন প্রস্তুতিও ছিলোনা। নদী ভাঙন পরিবারের জন্য সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় সহায্যের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তিনি বেসরকারি অথবা ব্যক্তিগত কোন সুযোগ থাকলে সকলের প্রতি এই অসহায় পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াবার অনুরোধ জানান।

অন্যদিকে, কুন্দেরপাড়া কেবলাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় এবং কুন্দেরপাড়া গণউন্নয়ন একাডেমি বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে পড়ায় চর এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপাড়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুর রাফিউল ইসলাম জানান, আমি ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছি। তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ছাড়াও তাদেরকে ছুনর্বাসনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠাবো।

 

 

আরও খবর

Sponsered content