নাসিম উদ্দিন, সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি:
করোনা মহামারির কারণে লকডাউনে কোরবানি পশু বিক্রি নিয়ে চরম দুর্দশায় পড়েছিলেন সরিষাবাড়ীর প্রান্তিক পর্যায়ের প্রায় সকল খামারিরা। শেষ পর্যন্ত সেই লকডাউন শিথিল করায় হাসি ফুটেছে সকল খামারিদের মুখে। তেমনি খামারের সকল গরু বিক্রি করতে পেরে স্বস্তির হাসি ফুটেছে খামারি পরানের মুখেও।
গত বছরের মার্চ থেকে শুরু করে টানা ১ বছরের বেশি সময় ধরে খামারিদের লোকসান গুনতে হয়েছে। তবে এবারের লকডাউনে কোরবানি পশু বিক্রিতে ছিলো উল্টো চিত্র। তাই সরকারকে ধন্যবাদ দিতে ভুল করেন নি এই সকল প্রান্তিক খামারিগণ।
উপজেলার ভাটারা, কামরাবাদ, সাতপোয়া, মহাদান, পোগলদিঘা, আওনা , ডোয়াইল এবং পিংনা ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে ছোট বড় কিছু খামার। যারা কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে তাদের পশুকে পরম যত্ন এবং ভালোবাসায় লালন পালন করছিলেন দীর্ঘ ১ বছর ধরে। তবে হঠাৎ করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের বেঁধে দেয়া বিধিনিষেধের কারণে কপালে চিন্তার ভাঁজ পরে এই সকল খামারিদের। কিন্তু এই সকল খামারিদের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির হাট খুলে দেয়ায় শেষ পর্যন্ত তাদের কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণ হয়।
এই বিষয়ে জগন্নাথগঞ্জ পুরাতন ঘাট সংলগ্ন জান্নাতি মোড়ে গড়ে উঠা পূর্ণা ডেইরি ফার্মের মালিক পরানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভেবেছিলাম এবারও গত বছরের মতো লোকসান গুনতে হবে। তবে এবার পশুর চাহিদা না কমে উল্টো বেড়েছে। আমার এই ডেইরি ফার্মে ছোট-বড়, দেশী-বিদেশী অনেক জাতের গরুই ছিলো কিন্তু করোনার কারণে একটু চিন্তাও ছিলো গরুগুলো বিক্রি করতে পারি কিনা। তবে সরকারের পক্ষ থেকে লকডাউন শিথিল করায় আল্লাহর রহমতে আমি সকল গরুই বিক্রি করতে সক্ষম হয়েছি। তাই পরিশেষে মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া এবং শুকরিয়া প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কে।