রংপুর

শাশুড়ি ও শ্যালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে জামাই গ্রেপ্তার

  প্রতিনিধি ২৮ জুলাই ২০২১ , ৫:১৫:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ

ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত রুহুল আমিন। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় শাশুড়ি ও শ্যালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে জামাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জামাই রুহুল আমিনকে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হলে আদালত তাঁকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জানা যায়, ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে র‍্যাবের কাছে দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে জামাই রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে থানায় তাঁর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়।

আটককৃত জামাই রুহুল আমিন (২৬) উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের সমসপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, রুহুল আমিন উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামে বিবাহ করেন। তিনি নিয়মিত শ্বশুর বাড়িতে যাতায়াত করতেন। এরই মাঝে শাশুড়ির গোসলরত অবস্থার আপত্তিকর ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করেন তিনি। পরে ওই ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে শাশুড়িকে কু-প্রস্তাব দেন রুহুল আমিন।

এতে শাশুড়ি রাজি না হওয়ায় রুহুল আমিন তাঁকে গত ১৩ মার্চ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেন।

অন্যদিকে, গাইবান্ধা শহরের পলাশপাড়ায় শ্যালিকার বাড়িতে গিয়েও ২০২০ সালে একই রকম ঘটনা ঘটিয়ে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টার ভিডিও করেন রুহুল আমিন। এরপর ওই শ্যালিকাকে কৌশলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সমসপাড়ায় তাঁর ফুপাতো বোনের বাড়িতে নিয়ে আবারও ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে গাইবান্ধা র‍্যাব-১৩ ক্যাম্পের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র‍্যাব গত রোববার রুহুল আমিনকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালি বালুয়া বাজারের মুক্তিযোদ্ধা ময়েজউদ্দিন সুপার মার্কেট থেকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে মোবাইলে ধারণকৃত অশ্লীল ভিডিও ও স্থিরচিত্রসহ মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আরিফুল ইসলাম জানান, রুহুল আমিনকে পৃথক দুই মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে উপস্থিত করা হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং রিমান্ড শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

আরও খবর

Sponsered content