আইন-আদালত

পরীমনির রিমান্ড : হাইকোর্টে দুই বিচারকের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা

  প্রতিনিধি ৩১ অক্টোবর ২০২১ , ৪:০৬:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির কয়েক দফা রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দুই বিচারক হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তারা হলেন- ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম। আজ রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবীর মাধ্যমে ওই দুই বিচারক ক্ষমা চাওয়ার আবেদন করেন বলে জানিয়েছেন পরিমনির আইনজীবী জেড আই খান পান্না।

এর আগে, পরীমনির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুর বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য এক সপ্তাহ সময় পেয়েছিলেন ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্ত কর্মকর্তা। দুই বিচারকের আইনজীবী এক সপ্তাহ সময়ের আবেদন জানালে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তা মঞ্জুর করেন।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বলেছিলেন, দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে আবার ব্যাখ্যা দিতে হবে। এ জন্য সময় দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি ২৪ অক্টোবর পরবর্তী আদেশের জন্য আসবে। তদন্ত কর্মকর্তাকে ২৪ অক্টোবরের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেছিলেন হাইকোর্ট। তবে ওইদিন শুনানি হয়নি।

এর আগে ২৯ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের রায় না মেনে পরীমনিকে বারবার রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের স্বপ্রণোদিত আদেশ প্রার্থনা করে একটি আবেদন করেন মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন।

গত ৩১ আগস্ট পরীমনিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত। পরে ১ সেপ্টেম্বর কাশিমপুরের মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি মেলে পরীমনির। গত ৪ আগস্ট বিকেলে পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। ওইদিন রাত ৮টার দিকে বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‍্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।