দেশজুড়ে

শিক্ষক হত্যা: জিতুর পর ‘প্রেমিকাও’ বহিষ্কার

  প্রতিনিধি ২ জুলাই ২০২২ , ৩:৩৬:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

নিহত শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার ও অভিযুক্ত জিতু। ছবি: সংগৃহীত

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

ঢাকার সাভারে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আশরাফুল ইসলাম জিতু ও তার ‘প্রেমিকা’ একই প্রতিষ্ঠানের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।  গত বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান হাজী ইউনুছ আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান। গতকাল শুক্রবার (১ জুলাই) জিতুকে স্কুল থেকে স্থায়ী বহিস্কারের তথ্য পাওয়া গেলেও তার ‘প্রেমিকা’কে সাময়িক বহিষ্কারের তথ্য মেলে আজ শনিবার (২ জুলাই)।

হাজী ইউনুছ আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, ‘গত ২৫ জুন অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে স্টাম্প দিয়ে নৃশংসভাবে আঘাত করা হলে পরদিন তার মৃত্যু হয়। উক্ত ঘটনায় পুলিশি তদন্ত ও আসামির জবানবন্দিতে তাসলিমা খাতুন রিমার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এই মুহুর্তে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ও প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে তাসলিমা আক্তার রিমাকে অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’

হাজী ইউনুছ আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান  বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় মূল আসামি জিতুকে স্কুল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। আর যাকে নিয়ে ঘটনাটা ওই মেয়েকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। যদি পরবর্তীতে প্রমাণিত হয় ওই মেয়ে এই ঘটনার সাথে জড়িত তাহলে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।

প্রসঙ্গত, সাভারে হাজী ইউনুছ আলী কলেজে চত্বরে ছাত্রীদের ক্রিকেট খেলার সময় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম জিতু রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। পরদিন সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

একই দিন নিহতের বড় ভাই অসীম কুমার সরকার বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। পরে অভিযুক্ত ছাত্র জিতু ও তার বাবা উজ্জ্বল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও খবর

Sponsered content