প্রতিনিধি ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৬:০৩:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার ২নং চান্দুরা ইউনিয়নের সাতগাঁও গ্রামের মৃত হিরা মিয়ার কন্যা সুমি আক্তার (৩৬) বিয়ের ২০বছরেও পরিবর্তন ঘটেনি নীল রংঙের পলিথিন এর ঝুপড়ির আবাসন।
স্বামীর বাড়িতে অভাব অনটন ও কর্মসংস্থানের অভাবে সাতগাঁও গ্রামের মায়ের দেওয়া অর্ধ শতাংশ জায়গাতে প্রায় ২০বছর যাবত এই ঝুপড়িতে বসবাস করে আসছে। আসমানী কবিতার ন্যায় এই পরিবারের বসবাস।
গরীব সুমি আক্তারের এক মেয়ে দুই ছেলে, বড় মেয়ের বয়স ১৮। অভাবের তাড়নায় নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে পড়ালেখার ইতি টানে, বর্তমানে তিন সন্তান নিয়ে ঝুপড়িতে কোনরকমে বসবাস করে আসছেন।
অসহায় সুমি আক্তার বলেন, আমার স্বামী একজন গরীব দিনমজুর একদিন কাজ পাইলে চার দিন পায়না, শারীরিক অসুস্থ মানুষ, তার এই উপার্জন দিয়ে সংসার চলে না, খুবই কষ্ট, নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। টাকার অভাবে নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল বন্ধ করে ফেলেছি। বিয়ের পর থেকেই আমি এই পলিথিনের ছাউনিতে রোদ বৃষ্টিতে ভিজে কেরোসিনের জালিত বাতিতে (কুপিতে) কোনরকম মাথা গুঁজিয়ে আছি। বৃষ্টির রাতে, নির্ঘুমে অপেক্ষায় থাকতে হয়, কখন বৃষ্টি থামবে। ২০বছরেও এমন টাকা জোগাড় করতে পারেনি সেটাতে টিনের চাউনি লাগাবো।
আমি দোয়া করি আমাকে যেন কেউ ঘর বানিয়ে দিয়ে সমাজে চলার তৌফিক দান করেন। সাথে সাথে সরকারের দৃষ্টিগোচর হলে আমার উপকার হত।