রংপুর

আনন্দ‘র হুইল চেয়ার পেয়ে খুশি ৭০ বছরের বৃদ্ধ নায়েব আলী

  প্রতিনিধি ১৫ মে ২০২৪ , ৬:২৫:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

আনন্দ‘র হুইল চেয়ার পেয়ে খুশি ৭০ বছরের বৃদ্ধ নায়েব আলী

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী স্টেশনের ক্ষুদে ভাতের হোটেল ব্যবসায়ী নায়েব আলী (৭০) স্বল্প আয়ের মধ্যেই ১ কন্যা ও স্ত্রী নিয়ে অতি কষ্টে বসবাস করে আসছিলেন পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ডের স্টেশন পাড়ায়। প্রায় ৭ বছর যাবৎ তিনি হার্টের রোগে আক্রান্ত।

সাথে ৪ বছর ধরে হারনিয়া ও শ্বাস কষ্ট ভুগছেন তিনি। বর্তমানে তার হার্টের ৫টি ব্লক ধরা পড়েছে। এতে তার হার্ডের পাম্পিং স্পিড ২৬ শে নেমে এসেছে। হার্ডের পাম্পিং স্পিড ২৬ এর উপরে না উঠলে তার হারনিয়া অথবা হার্ট অপারেশন করা সম্ভব হবে না। এমন কথা বলেছেন চিকিৎসকগণ। তাছাড়া এই দুইটি অপারেশনের জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। আমি কোন ভাবেই কুলাতে না পেরে বাবাকে বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছিল তার মেয়ে রিফা আক্তার।

এই পরিবারের উপার্জনের একমাত্র ব্যক্তি নায়েব আলী অসুস্থ হয়ে পড়ার সময় থেকে তার মেয়ে রিফা আক্তার একটা টেইলারে সেলাইয়ের কাজ করে অসুস্থ বাবা ও পরিবারকে চালানো চেষ্টা করছে। বর্তমানে অসুস্থ বাবার চিকিৎসাসহ পরিবার চালানো তার দ্বারা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

বৃদ্ধ নায়েব আলীর কন্যা রিফা আক্তার আরো বলেন, আমি আমার বাবাকে নিয়ে প্রায় ৪ বছর যাবৎ বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরেছি। একদিকে চিকিৎসার টাকা সংগ্রহ অপরদিকে রোগীর কাছে থাকা একবারেই অসম্ভব। তাই বাবাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছি। বাবা বর্তমানে নিজে চলতে পারে না। তার জন্য একটা হুইল চেয়ারের দরকার ছিল কিন্তু কেনার সামর্থ্য আমর নাই।

বিষয়টি ফুলবাড়ী গুপ্তা প্লাইউড এন্ড উড প্রোসেসিং কোম্পানির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আনন্দ কুমার গুপ্তর নজরে আসলে সে বাবার চলাফেরার জন্য একটি হুইল চেয়ার নিয়ে নিজেই আমাদের বাসায় আসে। এবং আমার বাবাকে ওই চেয়ারে বসান। আমি তার এই উপহার পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। আমি তার জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করছি।

রিফার মা আমেনা খাতুন বলেন, আমরা আনন্দ বাবুর এই হুইল চেয়ার পেয়ে অনেক খুশি। সৃষ্টিকর্তার কাছে আনন্দ গুপ্ত‘র জন্য দোয়া করছি। এ বিষয়ে আনন্দ গুপ্ত বলেন, মানুষের বিপদে মানুষ এগিয়ে আসবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকে আসতে চায়না। আমি বিত্তবানদের আহ্বান করবো আপনারাও গরিব অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ান। তাদের জন্য কিছু করেন।

এতে দেখবেন আপনার মন ভরে উঠবে। মানষিক স্বস্তি পাবেন। আপনার ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি পাবে। আমি বিশ্বাস করি দান করলে কমে না, দান করে বাড়ে। আমি দান করে মানষিক স্বস্তি পাই। আমার সাধ্যমতো এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

আরও খবর

Sponsered content