প্রতিনিধি ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৩:৫৯:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ
ক্যান্সার নামটি শুনলেই আমাদের সকলের মাঝে ভিতির জন্ম হয়।ক্যান্সর সনাক্তের পর দীর্ঘদিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ঔষধ আর বিভিন্ন থেরাপি নিতে হয় আক্রান্ত ব্যাক্তিকে। আক্রান্ত ব্যাক্তির ধীরে ধীরে শরীরে কার্য ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে অনেকটা সময় পরনির্ভরশীল হয়েই আক্রান্ত ব্যাক্তির দিন কাটে ঘরের চার দেয়ালের ভেতরে।ক্যান্সারের ভীতি তিলে তিলে আক্রান্ত ব্যাক্তির মনের শক্তিকেও কেড়ে নেয়।নিজের অসহায়ত্ববোধ গুলো প্রতিদিন নিজেকেই কস্ট দেয়।
ইসমাইল হোসেন সোহাগ,একজন সংবাদকর্মী,বান্দরবানের লামা উপজেলায় বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার নামে জাতীয় একটি পত্রিকায়।তার পরিবারে স্ত্রী,এক পুত্র সন্তান সহ আছেন তার বৃদ্ধ পিতা,তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক।
ইসমাইল কখনো কল্পনা করেনি ক্যান্সার নামক মরণব্যাধী বাসা বেধেছে,তার শরীরে।২০২২ সালের ১২ই জুন তার শরীরে ধরা পড়ে মরণব্যাধি ক্যান্সার।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের ধারণা অনেক আগে থেকেই শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন মরনব্যাধী ক্যান্সারের জীবাণু,ধিরে ধিরে সময়ের সাথে ক্যান্সার বাসা বেধে নিয়েছে পুরো শরীরে।
২০২২ সালের ১২ই জুন ইসমাইল প্রথম জানতে পারে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত, তখন থেকেই পাল্টে যেতে থাকে তার চিরচেনা চারপাশ।শুরু হয় সংবাদকর্মী ইসমাইল হোসেন সোহাগের জীবনযুদ্ধের নতুন অধ্যায়।
প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও একটি বেসরকারী হাসপাতালে দেখানো হয় তাকে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী একাধিক পরীক্ষা করার পর তৃতীয় স্টেজে ধরা পড়ে ক্যান্সার।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সকলের সহযোগিতায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ভারতে। ভারতের একটি হাসপাতালে অপারেশন করানো হয়,বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা আশ্বাস দিয়েছেন,চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,তবে তা কত দিনে তা বলেননি।
নিজের জায়গা জমি বিক্রি করে এতোদিন কোন রকম চিকিৎসা চালিয়ে গেলেও বর্তমানে ঋন করে চালাতে হচ্ছে চিকিৎসার খরচ।অর্থের অভাবে কেনা হচ্ছে না ডাক্তারের দেয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধ।
তার অসুস্থতার চিকিৎসায় অনেকেই বাড়িয়ে দিয়েছেন সহযোগিতার হাত। সংবাদের জন্য প্রতিদিন ছুটে চলা ইসমাইলের সময় গুলো পার করছেন অনেক কষ্ট আর যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে।
তার অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরতে গিয়ে সে বলে শীতের এই বিশাল রাত গুলো কাটাতে অনেক কষ্ট হয় তার।শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা ও জ্বালাপোড়া , ঘুমাতে কষ্ট হয়।বর্তমানে অনেক কষ্ট আর যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।এত ব্যয়বহুল চিকিৎসা আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে সম্ভব না।
আপনাদের সকলের দোয়া’র উছিলায় যেনো আবার নতুন ভাবে পরিপূর্ণ সুস্থ্য হয়ে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারি সেটাই কামনা করছি।
সকলের সহযোগীতা নিয়ে সংবাদকর্মী ইসমাইল হোসেন সোহাগ আবারো ফিরতে চান স্বাভাবিক জীবনে।পারিবারিক আর্থিক সামর্থ্যের কাছে হেরে যাওয়া ইসমাইলের চিকিৎসার পেছনে শেষ করেছেন নিজের জমি জমা। মানবতার সাহায্যের হাতগুলোর সহায়তায় কোনরকম চালিয়ে যাচ্ছেন নিজের চিকিৎসা।