রাজশাহী

করোনায় স্কুল বন্ধ থাকায় নন্দীগ্রামে শিক্ষার্থীদের ফ্রি-ফায়ারেই দিন পার

  প্রতিনিধি ২৭ মে ২০২১ , ৮:১০:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

মো. ফিরোজ কামাল ফারুক, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) :

করোনাভাইরাসের কারণে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার শিক্ষার্থীরা মোবাইলে গেমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার্থীরা পাবজি, তিনপাত্তি, ফ্রি-ফায়ার গেমসে ঝুঁকে পড়ছে।

জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলা ও পৌরসভার প্রতিটি গ্রামে উঠতি বয়সের শিক্ষার্থীরা ও তরুণরা দিন দিন পাবজি, তিনপাত্তি, ফ্রি-ফায়ার নামক গেম খেলছে। যে সময় তাদের ব্যস্ত থাকার কথা বই পাঠ, খেলাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে, সেখানে তারা ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে জড়িয়ে পড়ে নেশায় পরিণত করছেন। উঠতি বয়সের শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত অ্যান্ড্রয়েড ফোন দিয়ে এসব গেইমে আসক্ত হচ্ছে। শুধু ফ্রি-ফায়ার খেলায় শেষ নয়। তারা এর পাশাপাশি ডায়মন্ড টপ আপের নামে বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, পাবজি ও ফ্রি ফায়ার নামক মরন গেমস। এসব ডায়মন্ড ও ইউসি কেনার টাকা যোগান দিতে যুবকরা-শিক্ষার্থীরা জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপকর্মে। পাবজি গেমে আসক্ত যুবকরা জানান, প্রথমে তাদের কাছে পাবজি গেম ভালো লাগত না। কিছু দিন বন্ধুদের দেখাদেখি খেলতে গিয়ে এখন সবাই আসক্ত হয়ে গেছেন। এখন এ গেমস না খেললে আর ভাল লাগে না।

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সৌরভ সরদার বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ। শুধু বসে বসে থেকে দিন কাটে না। আমার বন্ধুরা ফ্রি-ফায়ার গেমস মোবাইলে খেলে। সে দেখে আমিও খেলছি। এসব গেমস যে একবার খেলবে, সে আর ছাড়তে পারবে না বলে দাবি করে ওই শিক্ষার্থী।

সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিরিশ চন্দ্র রায় বলেন, কিশোর-কিশোরীদের মা-বাবাসহ সমাজের সবারই খেয়াল রাখতে হবে, শিক্ষার্থীরা যেন মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল আসক্ত না হয়। অভিভাবক, সচেতন মহল প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থানে সচেতন হলে শিক্ষার্থীদের এ আসক্তি থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

এপ্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাইয়ুম বলেন, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মনোযোগ করতে শিক্ষকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওয়ার্কসিট বিতরণ করে আসছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সাথে লেখাপড়ার বিষয়ে নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন শিক্ষকরা। আর এ ফ্রি-ফায়ার নামক গেমে আসক্ত হচ্ছে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। তবে প্রথমেই এ বিষয়ে অভিভাবককে সচেতন হতে হবে।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by