ঢাকা

আশুলিয়ায় নারীর সাথে দৈহিক মিলন; বিয়ের নামে প্রতারণার অভিযোগ 

  প্রতিনিধি ৮ মার্চ ২০২৫ , ৩:৫৪:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

আশুলিয়ায় নারীর সাথে দৈহিক মিলন; বিয়ের নামে প্রতারণার অভিযোগ 

ঢাকার আশুলিয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভাড়াকৃত বাসাবাড়িতে স্ত্রীর পরিচয়ে এক নারীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে দৈহিক মিলনের অভিযোগ উঠেছে নূরুল আমিন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এছাড়া ৫ লাখ টাকা আত্মসাত করেছে বলেও অভিযোগ ওই ভুক্তভোগী নারীর। পরে আশুলিয়া থানায় এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী। 

শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে আশুলিয়া থানার এসআই ওমর ফারুক অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  

ভুক্তভোগী নারীর গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলায় এবং অভিযুক্ত নুরুল আমিন আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের আমতলা এলাকার মো. ইয়ার উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। 

ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে নুরুল আমিনের সাথে রং নাম্বারের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে নুরুল আমিন তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাগেরহাট থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে এবং আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বসবাস করতে থাকে। তারা বিগত তিন বছর এক সাথে বসবাস করে। এরই মধ্যে গাড়ির ব্যবসা করার কথা বলে ওই নারীর কাছ থেকে নূরুল আমিন ৫ লাখ টাকা ধার হিসেবে নেয়। টাকা নেওয়ার পরেই হঠাৎ আত্মগোপনে চলে যায় নূরুল। এরপর থেকে প্রায় পাঁচ বছর ধরে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

ভুক্তভোগী আরও জানান, গত ৫ মার্চ তিনি (নারী) জানতে পারেন নুরুল আমিন আশুলিয়ার গোহাইল বাড়ি বাজারে ব্যবসা করছেন এবং সেখানেই বসবাস করছেন। পরে ওই নারী নুরুলের সাথে দেখা করেন এবং তার পাওনা টাকা চান। তবে নুরুল আমিন তাকে টাকা দেবেন না বলে জানায়। সেই সাথে তাকে খুন করার সহ মামলা দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার হুমকিও দেয়। এ ঘটনায় বিভিন্ন মাধ্যমে সাহায্য চাইলেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় ৭ই মার্চ রাতে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত  অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নুরুল আমিন গোহাইলবাড়ি এলাকায় তার বাবার রেখে যাওয়া ধানের মিল ও ব্যাটারি চালিত অবৈধ অটোরিকশার চার্জের ব্যবসা করেন। সে বেশির ভাগ সময় মদ্যপ অবস্থায় থাকে। বেশ কিছুদিন আগে গোহাইল বাড়ি বাজারের সিকিউরিটি গার্ড মোহাম্মদ আবুল হোসেনকে মারধর করেন। এ ছাড়া নারী নিয়ে নৌকায় অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগেও রয়েছে তার বিরুদ্ধে ।

এবিষয়ে অভিযুক্ত নুরুল আমিনের সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে গোহাইল বাড়ি বাজরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। 

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: ওমর ফারুক বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগটি ভুলে আমার নামে ইন্ডোস করা হয়েছে। এটা সংশ্লিষ্ট এলাকার বিট অফিসার তদন্ত করবেন। তিনিই তদন্ত করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি এয়োও জানান। 

আরও খবর

Sponsered content