প্রতিনিধি ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৩:৫২:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাকার আশুলিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোমেনুল ইসলাম মমিন (২৮) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছেন পুলিশ।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এরআগে একইদিন রাত ১১টার দিকে আশুলিয়ার গাজীরচট বসুন্ধরা এলাকায় সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তাকে।
নিহত মোমেনুল নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন খাস দাউদপুর এলাকার আজাহারের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে আশুলিয়ার দক্ষিণ বাইপাইল চাড়ালপাড়া এলাকায় বসবাস করে একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির দোকান চালাতেন।
আটককৃতরা হলো- আশুলিয়ার দক্ষিণ বাইপাইল এলাকার মোহাম্মদ নাজমুল (১৮), একই এলাকার আশিকুল ইসলাম আসিফ (২২), দক্ষিণ গাজীরচট এলাকার মো. আলিফ (১৮) ও একই এলাকার রমজান (২৬), কুমিল্লার মুরাদনগর থানার ধামগর পূর্বপাড়া এলাকার মো. ইব্রাহিম (৪৮) এবং একজন কিশোর।
এলাকাবাসি জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা নিয়ে রুবেল নামের এক ব্যক্তির সাথে মোমিনের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। রুবেল বিভিন্ন সময় মোমিনকে তার আন্ডারে মাদক ব্যবসা করার জন্য প্রস্তাব দেয়। মোমিন তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জেরে মঙ্গলবার রাতে রুবেলের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ মোমিনকে বসুন্ধরা এলাকায় পেয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোজ্জন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের এক ঘন্টার মধ্যে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ছয় জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। তাদের মধ্যে নজরুল ও আসিফ নিজে কুপিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন জানান, রাত ১১টার দিকে বাইপাইল বসুন্ধরা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রুবেলের নেতৃত্বে মোমিন নামের একজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান। পরে আমরা অভিযান চালিয়ে ছয় জনকে আটক করি। আটককৃতরা প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এছাড়া লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।