প্রতিনিধি ১০ আগস্ট ২০২৪ , ৩:১৩:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় রাতের আঁধারে লুটপাটের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে বিএনপি নেতা আহসানুল্লাহ ভূঁইয়ার ছেলে রিফাত ভূঁইয়া ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এসময় জান্নাত মীর ইন্টারনেট সার্ভিস নামে একটি নেট ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠানের তাড় কেটে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এবং সেই সাথে কয়েকটি বাসা-বাড়ীর সিসি ক্যামেরাও ভাংচুর করে। পরে লুটপাটকারীরা প্রবেশ করছে বলে মসজিদের মাইকে জানানো হলে বাসা বাড়ি থেকে লোকজন বের হয়ে তাদেরকে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে আশুলিয়ার জামগড়া কাঁঠালতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে জনমনে এক প্রকার আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বাড়িওয়ালা ইসাক সরকার বলেন, রাত ১টার দিকে আমি আমার ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘুমাচ্ছিলাম, তখন তৃতীয় তলা থেকে আমার স্ত্রী আমাকে ফোন করে বলে বাড়ির মধ্যে ডাকাত ঢুকার চেষ্টা করছে। তখন আমি আমার রুমের দরজা খুলে বেলকুনিতে এসে দেখি ২০-২৫ জন পোলাপান সিসি ক্যামেরা ভাংচুর সহ নেট লাইনের তাড় কেটে ফেলে। এরপরে তারা যখন আমার বাড়ীতে ঢোকার চেষ্টা করে তখন মসজিদের ইমাম সাহেবকে ফোন করে জানাই এবং মাইকিং করতে বলি। তখন তিনি আমার বাড়ীতে ডাকাত ঢুকেছে এই কথা মাইকিং করে জানায়।
এরপরে এলাকাবাসী ছুঁটে আসলে তারা পালিয়ে যায়। প্রত্যেকের মুখে মাকস পরা এবং সকলের কাছে দেশীয় অস্ত্র ছিলো। পরে দিনের বেলায় আমারা এই বিষয়ে এলাকাবাসীর সাথে বসে আলোচনা করি। তখন জানতে পারি আহসানুল্লাহ ভূঁইয়ার ছেলে রিফাত ভূঁইয়া ও রুবেল তারা এই কাজ করেছে। এবিষয়ে রিফাতের বাবাকে জানানো হলে তার ছেলে আমাদের এলাকায় আর প্রবেশ করবে না বলে আশ্বস্ত করে।
সুস্মিতা নূর নামে এক নারী তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেন এবং তিনি সেখেনে লিখেছেন গতরাতে ১টার দিকে আমাদের এলাকায় লুটপাট করতে কয়েকজন পোলাপান অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়ে। আগে সিসি ক্যামেরা ভাংচুরসহ ইন্টারনেটের তাড় কাটে। এরপরে বাসাবাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাদেরকে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনীকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করেন।
ভিডিওতে ১৫ জন অস্ত্রধারীদেরকে ইসাক সরকারের বাড়ির রাস্তায় ঢুকতে দেখা গেছে। প্রত্যেকের মুখে মাকস ও হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিলো। সেখানে আহসানুল্লাহ ভূঁইয়ার ছেলেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে।
এবিষয়ে রিফাতের বাবা আহসানুল্লাহ ভূঁইয়াকে কয়েকবার ফোন করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।