আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি গণহত্যার প্রধান পৃষ্ঠপোষক যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেন: ইরান

  প্রতিনিধি ৬ মে ২০২৪ , ২:৪৭:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

ইসরায়েলি গণহত্যার প্রধান পৃষ্ঠপোষক যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেন: ইরান
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের সব অপরাধ এবং গণহত্যার প্রতি সমর্থন দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনকে অভিযুক্ত করেছে ইরান।

পার্স টুডের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি রোববার (৫ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত সাত মাস ধরে ইসরায়েল যে অপরাধযজ্ঞ চালাচ্ছে তার মূলে রয়েছে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের নির্লজ্জ সমর্থন। তারাই এক্ষেত্রে প্রধান সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে।’ 

ইরানি মুখপাত্র বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন দেয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ সরকার এখন নিজেদের দেশে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের ওপর ধরপাকড় ও নিপীড়ন-নির্যাতন চালাচ্ছে। কিন্তু এসব ব্যর্থ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশ দুটি ইসরাইলের গণহত্যার বিষয়ে সৃষ্ট জনমতকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে পারবে না।’ 

কানানি জোর দিয়ে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন মিথ্যা তথ্য ও ভুয়া খবর প্রচারের মাধ্যমে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যায় তাদের লজ্জাজনক সমর্থন আড়াল করতে পারবে না।’

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের মূল দাবি- ইসরায়েলের সাথে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করতে করতে হবে। এছাড়া, যেসব প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতি সমর্থন দিচ্ছে তাদের সাথেও মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা।

প্রেস টিভির খবরে বলা হয়েছে, গত ১৭ এপ্রিল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউ ইয়র্ক ক্যাম্পাসের ফিলিস্তিনিপন্থি শিক্ষার্থীরা প্রথম আন্দোলনে নামেন। বিক্ষোভকারীদের দমনে নিউ নিয়র্ক পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকে ধরপাকড় ও মারমুখী অবস্থানে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অঙ্গরাজ্যেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকে ঘিরে অন্তত ৬১টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ৪৭টি ক্যাম্পাস থেকে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সাত মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো এ হামলা অব্যাহত আছে।

গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬৮৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর আহতের সংখ্যা ৭৮ হাজার ছাড়িয়েছে। 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by