দেশজুড়ে

উপকূলীয় জীবনের সুরক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বাগেরহাটে মানববন্ধন 

  প্রতিনিধি ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৬:১৯:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

উপকূলীয় জীবনের সুরক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণেরদাবিতে বাগেরহাটে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন লিডার্স।

(২১ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার বাগেরহাট শহরের খাদ্দার এলাকায় জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের আয়োজনে ও বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন লিডার্সের সহযোগিতায় উপকূল অঞ্চলের সংকট নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বিভিন্ন স্তরের মানুষ, স্থানীয় জনগণ, সমাজকর্মী ও পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

উপকূল অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ফলে দুর্যোগ পরিস্থিতি দিন দিন জটিলতর হচ্ছে। পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি, ভূমি ক্ষয়, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে জনজীবন বিপর্যস্ত। এই সংকট নিরসনে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “উপকূলের মানুষের জন্য অবিলম্বে উন্নত পানি ব্যবস্থাপনা, টেকসই বাঁধ নির্মাণ, দুর্যোগ পূর্বাভাস ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং জীবিকা রক্ষায় বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।”  উক্ত ভারত বন্ধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা জলবায়ু অদি পরামর্শ ফোরামের  সভাপতি শাহিদা আক্তার, সহ-সভাপতি সৈয়দ শওকত হোসেন, নার্গিস আক্তার ইভা, সম্পাদক শেখ আসাদুজ্জামান ,সদস্য ইসরাত জাহান , এস এম রাজ,আজাদুল হক, এস কে হাসিব ,মোঃ কামাল হোসেন প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে অঞ্চল দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল। এ অঞ্চল প্রকৃতিগত ভাবে একটি ঐশ্বর্যপুর্ণ এবং ভু রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই উপকূল ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় মানুষের অভিজ্ঞতা ও বিজ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে। বৈষম্য নিরসনের পাশাপাশি অনাচার বন্ধ করতে হবে। অন্যত্থায় আমাদেরকে ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখী হতে হবে। বাংলাদেশের পাশাপাশি সমগ্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ভয়াবহ ক্ষতির সন্মূখীন হবে। জলবায়ু পরিবর্তন, নদীভাঙন, লবণাক্ততার বৃদ্ধি এবং পরিকল্পিত অবকাঠামোর অভাবে মারাত্মক সংকটে আছে উপকূলের জনগণ। তাই উপকূলের উন্নয়নে একটি দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মানববন্ধন শেষে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়, যেখানে উপকূল অঞ্চলের সংকট মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content