রংপুর

এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশের অভিযানে আটক ২২

  প্রতিনিধি ১৯ মে ২০২৪ , ৭:৫২:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশের অভিযানে আটক ২২

দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীসহ সেবা প্রার্থীদের ভোগান্তিমুক্ত করতে টাউট দালালসহ ২২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

রবিবার সকাল থেকে প্রায় ৩ ঘণ্টা ব্যাপী অভিযান চালান তারা। তালিকায় রয়েছে দালাল এবং মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভসহ টানা পার্টির কয়েকজন সদস্য । আটককৃতদের বিরুদ্ধে সেবা প্রার্থী রোগিদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করার অভিযোগে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানায় প্রেস ব্রিফিং করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, কোতয়ালী থানার ইনচার্জ ফরিদ হোসেন, ইন্সপেক্টর এ.এফ.এম. মনিরুল মন্ডল মনিরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুম জানান, দিনাজপুর জেলা ছাড়াও ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড় এবং নীলফামারীসহ আশপাশের এলাকার দরিদ্র রোগীরা এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে।

ওইসব দরিদ্র রোগীদের টার্গেট করে বিভিন্ন ক্লিনিকের কর্মীরা হাসপাতালের ভিতরেই রোগীদের নানানভাবে বিভ্রান্ত করে নিজ নিজ ক্লিনিকের ল্যাবে টেস্ট করানোসহ চিকিৎসার জন্য রোগীদের টেনে নিয়ে যেত।এতে বেশি অর্থ ব্যয় করেও সঠিক চিকিৎসা পেত না তারা। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ল্যাবসহ পর্যাপ্ত চিকিৎসা উপকরণ থাকা সত্ত্বেও দালালদের খপ্পরে চিকিৎসা বঞ্চিতসহ প্রতারিত হতো সেবা প্রার্থীরা। পাশাপাশি রোগীদের টানাটানি করে মোবাইল ফোন টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিতো কিছু বহিরাগত।

এছাড়াও সপ্তাহে দুই দিন শনি এবং মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার পর চিকিৎসকদের সাথে কথা বলার নিয়ম থাকলে তা লঙ্ঘন করে প্রতিদিনই চিকিৎসকদের চেম্বারের সামনে জটলা পাকিয়ে চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তিতে রোগীদের ব্যাঘাত ঘটাতো মেডিকেল রিপ্রেজেনটিভরা। রোগীর প্রাইভেসি নষ্ট করে প্রেসক্রিপশনের স্কিট শর্ট নিত তারা। এসব অভিযোগ পেয়ে রবিবার সকাল থেকে অভিযানে নেমেছিলেন তারা।

মাঝে মধ্যে এ ধরনের অভিযান চালানোর আশ্বাস দিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুম। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকালে আদালতে তুলে দিয়েছে কোতয়ালী থানা পুলিশ।আটকৃতদের মধ্যে মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভদের রয়েছে আশরাফুল আলম ওরফে চান মিয়া (৩২), পিতা সাইফুর রহমান, সাং-সন্নাসীরচর, ফুলছড়ি, গাইবান্ধা। শফিকুল ইসলাম (৩৩), পিতা-মৃত হবিবর রহমান, সাং- হারিয়ারকুঠি মন্ডলপাড়া, তারাগঞ্জ,রংপুর।হাবিবুর রহমান (৩৬), পিতা- সাবদার আলী, সাং- ফাজিলপুর, কোটচাদপুর,ঝিনাইদহ।শাহিন জামান (৩৫), পিতা নুরুল ইসলাম, সাং-বড়নুনতর, রানীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও।

শাওন মন্ডল (৩০), পিতা-মৃত সামসুদ্দিন আহমেদ, সাং- বাড়ইল, আক্কেলপুর,জয়পুরহাট। জুলকার নয়ন (২৭), পিতা- শফিউল আলম, সাং- অমরখানা,সদর, পঞ্চগড়। আয়নাল হোসাইন (৩৪), পিতা-মৃত মকবুল হোসেন, সাং- শিবপুর, গোপালপুর,টাঙ্গাইল। মোস্তাক আহমেদ (৩০), পিতা-মো. তৈয়ব আলী, সাং- রাজারামপুর ধনতলা,-বদরগঞ্জ,রংপুর।হাবিবুল আরেফিন সোহাগ (২৯), পিতা-মো. আব্দুল আলিম, সাং-গাবুব,কাপাসিয়া,গাজীপুর। আটক দালালদের মধ্যে রয়েছে ইদুল রহমান (২৯), পিতা- সমসের আলী, সাং- নামইল, হরিপুর,ঠাকুরগাঁও। রাশেদুল ইসলাম রাসেন (২৬), পিতা-মৃত আমিনুল ইসলাম,উপশহর নিউটাউন-৭ সদর দিনাজপুর।

হাসিবুল আল আসাদ (৩০), পিতা- শরিফুল ইসলাম, সাং-মহতুল্লাপাড় গাজারমারী, সদর,দিনাজপুর। রাশেদ আলী (৪০), পিতা-মো. হোসেন আলী,বিরল, দিনাজপুর। নাহিদ হাসান (২৪), পিতা-মো. গোলাম মোস্তফা, সাং-রাজপুর উত্তরপাড়া,চিরিরবন্দর, দিনাজপুর। মাসুম বিল্লাহ (৩২), পিতা-মো. সাবেদ আলী, ৮নং উপশহর, সদর দিনাজপুর। মোরসালিন ইসলাম (২৫), পিতা-আব্দুর রশিদ, সাং- মোস্তফাপুর, ডাঙ্গাপাড়া,পার্বতীপুর,দিনাজপুর। আনিসুর রহমান (৪০), পিতা-মৃত ইউনুস আলী, মেডিকেলের সামনে যোসমাধবপুর,দিনাজপুর। আরেফিন আলী (৪০), পিতা- মজিবর রহমান, সাং-ভরাইনগর সোনাহারপাড়া,সদর, দিনাজপুর। তমাল রায় (২৬), পিতা-পিযুশ চন্দ্র রায়,সাং-ভাড়াডাঙ্গী,দিনাজপুর। রোজিনা খাতুন ওরফে কথা (৩০), পিতা- মোস্তফা কামাল, সাং-করিমুল্লাপুর আদর্শপাড়া, সদর, দিনাজপুর।

শাহানা বেগম ওরফে শাহনাজ (৩৪), পিতা সাজিদ উদ্দিন, সাং-পাকপাহাড়পুর সদর,দিনাজপুর। মোছাম্মদ বৃষ্টি (২৪), স্বামী মো. ইমন, সাং- বালুবাড়ী, সদর, দিনাজপুর।

আরও খবর

Sponsered content