আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক আদালতে গাজা ইস্যুতে বাংলাদেশের কয়েক দফা সুপারিশ

  প্রতিনিধি ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৮:৪০:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

আন্তর্জাতিক আদালতে গাজা ইস্যুতে বাংলাদেশের কয়েক দফা সুপারিশ

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে করা দক্ষিণ আফ্রিকার মামলায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ইসরায়েলের জন্য বেশ কয়েকটি কাজের সুপারিশ করেছেন। মঙ্গলবার আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

সুপারিশমালার মধ্যে রয়েছে,-বৈষম্যমূলক আইন ও পদক্ষেপে স্বাক্ষরসহ ফিলিস্তিনি জনগণের স্বনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রয়োগে বাধা সৃষ্টিকারী সব কাজ ইসরায়েলকে বন্ধ করতে হবে। ইসরায়েল অবশ্যই গাজা থেকে তাদের সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করতে হবে এবং দখলের অবৈধ কাঠামো ভেঙে দিতে হবে।

দ্বিতীয় দফার সুপারিশে রয়েছে-ইসরায়েলকে অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং এই ধ্বংসযজ্ঞের পুনরাবৃত্তি না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

তৃতীয়ত, সবরাষ্ট্রকে অবশ্যই আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের জন্য যেকোনো আইনি বাধার অবসান নিশ্চিত করতে হবে এবং বলপ্রয়োগ করে ভূখণ্ড অধিগ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।

চুতর্থত, বিভিন্ন দেশকে পূর্ব জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের অন্যায় কাজের ফলে সৃষ্ট বেআইনি পরিস্থিতিকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত নয় এবং এ ব্যাপারে সাহায্য বা সহায়তা প্রদান করা উচিত নয়। আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইসরায়েলের আনুগত্য নিশ্চিত করতে সহযোগিতা অপরিহার্য।

দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আরও পদক্ষেপ বিবেচনা করা উচিত। বর্ণবৈষম্য প্রথার অবসান ঘটানোর জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে- দক্ষিণ আফ্রিকার এমন অভিযোগের ওপর জানুয়ারিতে প্রথম দফায় শুনানি হয় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে। ওই সময় আদালত ইসরায়েলকে গাজায় গণহত্যা প্রতিরোধে তার ক্ষমতার মধ্যে সব ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিল। তবে ইসরায়েল এই নির্দেশনা আগ্রাহ্য করেছে। মঙ্গলবার ওই মামলায় দ্বিতীয় দফা শুনানি শুরু হয়েছে। এই দিন দক্ষিণ আফ্রিকা, আলজেরিয়া, সৌদি আরব, নেদারল্যান্ডস, বাংলাদেশ এবং বেলজিয়াম প্রাথমিক যুক্তি উপস্থাপন করেছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অর্ধশতাধিক দেশ এবং কমপক্ষে তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে শুনানিতে অংশ নেবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by