আন্তর্জাতিক

করোনাভাইরাস : ভারতে একদিনে শনাক্ত প্রায় আড়াই লাখ

  প্রতিনিধি ১৩ জানুয়ারি ২০২২ , ৫:১৮:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবার ভয়ংকর চেহারা নিচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৪৭ হাজার ৪১৭ জন। আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৫০ হাজার বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। 

গতকাল বুধবার (১২ জানুয়ারি) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক লাখ ৯৪ হাজার ৭২০। সঙ্গে সংক্রমণের হারও ১১ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩ শতাংশ।

আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও মৃত্যু বাড়েনি। এছাড়া গত দুই দফার তুলনায় হাসপাতালে ভর্তিও তুলনামূলকভাবে কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৮০ জন। দেশটিতে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি।

গত কয়েক দিন ধরেই দেশে দৈনিক সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ ছাড়াচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তা পৌঁছে ১৩.১১ শতাংশে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য জানাচ্ছে, গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের ২৯টি রাজ্যের অন্তত ১২০টি জেলায় সংক্রমণের হার রয়েছে ১০ শতাংশের বেশি। সেইসঙ্গে বাড়ছে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৪৮৮ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে মহারাষ্ট্রে, ৪৬ হাজার ৭২৩ জন করোনায় সংক্রমিত। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দিল্লিতে তা সাড়ে ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত ২২ হাজার ১৫৫ জন। কর্নাটক ও তামিলনাড়ুতেও গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত অনেকটাই বেড়েছে।

ভারতজুড়ে ছবিটা কমবেশি একই। করোনার বাড়বাড়ন্তের ছবি। প্রতিটি রাজ্যেই কড়াকড়ি চালু হয়েছে। প্রায় সব বড় শহরেই রাতের কারফিউ জারি করা হয়েছে।

মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়ে দিয়েছে, কড়াকড়ি আগের মতোই বহাল থাকবে। পুনেতে আবার করোনা শিবির খোলা হয়েছে। মুম্বাইতে যারা হাসপাতালে ভর্তি, তাদের অধিকাংশই দুই ডোজ টিকা নেননি বলে সমীক্ষা জানাচ্ছে।

দিল্লিতে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ছাড়া সব বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করবেন। সপ্তাহান্তের কারফিউ বহাল আছে।

দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা না কমা পর্যন্ত কড়াকড়ি বহাল থাকবে। দিল্লির রাস্তায় গাড়ির পরিমাণ কম। মানুষজনও কম বেরোচ্ছেন। রাস্তায় হোম ডেলিভারির সঙ্গে যুক্তদেরই বেশি দেখা যাচ্ছে। দিল্লিতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, রেস্তোরাঁতে হোম ডেলিভারি ছাড়া বসে খাওয়া বন্ধ, বন্ধ করে দেয়া হয়েছে স্পা, সুইমিং পুল, জিম। বিয়েতে ২০ জনের বেশি আমন্ত্রিত থাকতে পারবেন না।

করোনা বাড়তে থাকায় নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে রেলমন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়েছে, মাস্ক ছাড়া কাউকে স্টেশনে ঢুকতে দেয়া হবে না। যাত্রীদের বারবার হাত স্যানিটাইজ করতে হবে।  রেলের সব কর্মীকে বুস্টার ডোজ দেয়া হবে। করোনা রোগীর জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থাও স্টেশনে থাকবে। -আনন্দাবাজার পত্রিকা ও ডয়চে ভেলে

আরও খবর

Sponsered content

Powered by