আইন-আদালত

করোনার ভুয়া রিপোর্ট: সাবরিনা, আরিফসহ আট জনের ১১ বছরের কারাদণ্ড

  প্রতিনিধি ১৯ জুলাই ২০২২ , ৬:২৬:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ
করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান সাবরিনা আরিফ চৌধুরী, তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) তোফাজ্জল হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ছয় আসামিরা হলেন— জেকেজির সমন্বয়ক সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির সাবেক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, তার স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম ও জেবুন্নেসা।

এদিকে রায় ঘোষণা উপলক্ষে সকালে সাবরিনা, আরিফুলসহ আসামিদের কারাগার থেকে আদালতের হাজতখানায় আনা হয়।

এর আগে, করোনার নমুনা জালিয়াতির মামলায় সাবরিনা, আরিফুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২০ আগস্ট অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, এই মামলায় ৪০ সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

করোনার নমুনা সংগ্রহ ও ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফুল, কর্মচারী হুমায়ুন কবির, তার স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা-পুলিশ।

পরদিন ২৪ জুন হুমায়ুন ও তানজিনা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

একই বছরের ১২ জুলাই সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ।

জালিয়াতির ঘটনায় কামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট সাবরিনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, এই জালিয়াতিতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল।