প্রতিনিধি ৩০ জুন ২০২০ , ৮:০৩:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ
কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি: নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ভুতুড়ে বিল নিয়ে সীমাহীন হয়রানির শিকার হচ্ছেন পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহকরা। গ্রাহকদের অভিযোগ মিটারে বর্তমান রিডিং এর চেয়ে কয়েক গুন বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া পূর্বের দেওয়া বিল জুন মাসের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে বিদ্যুৎ অফিস থেকে বলা হয়েছে, চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে এই বিল পরিশোধ না করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। এ অবস্থায় উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন গ্রাহকরা। প্রতিদিন কেন্দুয়া পল্লীবিদ্যুতের জোনাল অফিসে সামনে এসব অনিয়ম নিয়ে চরম অসন্তোষসহ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন গ্রাহকরা। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকে এসব অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেছেন। ছিলিমপুর গ্রামের নুরনাহারের মিটারে মে মাসে ১৩০ টাকা বিল এসেছিল কিন্তু জুন মাসে তার মিটারে বিল আসে ৬৮৬ টাকা, নল্লা গ্রামের শিউলী আক্তারের মিটারে মে মাসে ৩৬৬ টাকা বিল এসেছিল কিন্তু জুন মাসে তার মিটারে বিল আসে ৯৮৭ টাকা, কেন্দুয়া পৌর শহরের বাসিন্দা আশরাফুল ইসলামের মা সুরাইয়া এসেছেন বিলের কাগজ নিয়ে এতে এপ্রিল মাসে বিলে আসে ৩০ টাকা। তার মে মাসে জিরো ইউনিট থাকলে জুন মাসে ব্যবহার দেখানো হয়েছে ২৯০ ইউনিট। একই এলাকার আনার মিয়ার মার্চ,এপ্রিল ও মে মাসের বিল পরিশোধ করা হলেও জুনের বিলের সাথে দেওয়া ৩ মাসে বিল সংযুক্ত করা হয়েছে। কেন্দুয়া পৌর শহরের আনন্দ বিদ্যা নিকেতনটি গত মার্চ মাসের ১৭ তারিখ থেকে বিদ্যালয়টি বন্ধ অথচ ওই বিদ্যালয়ে বিল এসেছে ৪ হাজার টাকা। এদের মত অতিরিক্ত বিল ও পরিশোধকৃত বিল সংযুক্ত করে বিল তৈরীর করার অভিযোগ হাজার হাজার গ্রাহকের। এব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের কেন্দুয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম আবুল কালাম আজাদ জানান, কমপিউটারের সমস্যার কারনে কিছু বিলের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। যারা আসছেন তাদেরকে ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। আর যারা অতিরিক্ত বিল দিয়েছেন পরবর্তী মাসে তাদের বিলে সমন্বয় করা হবে।