বাংলাদেশ

খালেদা জিয়ার মুক্তিতে বিলম্ব করলে বিড়ম্বনা বাড়বে, হুঁশিয়ারি গয়েশ্বরের

  প্রতিনিধি ২২ নভেম্বর ২০২১ , ৩:২৮:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। পুরোনো ছবি

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দিতে বিলম্ব করলে বিড়ম্বনা বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সেইসঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য তার অনুসারীরা জীবন এবং রক্ত দিতে প্রস্তুত আছে বলেও জানান তিনি।

আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে বিএনপির পূর্ব ঘোষিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দিয়ে প্রমাণ করুন তার ওপর আপনাদের কোন হিংসা-বিদ্বেষ নাই। তা না হলে খালেদা জিয়ার অনুসারীরা জীবন এবং রক্ত দিতে প্রস্তুত। নেতাকর্মীরা রক্ত দিচ্ছে, জেলে যাচ্ছে, আমরা দিচ্ছি। জেল, জুলুম মৃত্যু পরোয়া বাংলাদেশের জনগণ করে না। আমরাও করি না। আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন। যত বিলম্ব করবেন বিড়ম্বনা তত বাড়বে। জনগণের মুখ বন্ধ রাখতে পারবেন না। জনগণ রাস্তায় নামলে লাঠিসোটা দিয়ে মোকাবিলা করার চেষ্টা করবেন না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের একটিই কথা। আমাদের প্রিয় নেত্রী, আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। তার মুক্তি হলে তাকে চিকিৎসা করানোর সুযোগ পাবো। ’

বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় বাধা সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসায় বাধা বেগম খালেদা জিয়ার তিলে তিলে মারার চক্রান্ত। এই চক্রান্ত রুখার জন্য দেশবাসীও জেগে উঠেছে। ‌ সুশৃঙ্খলভাবে আমাদের আন্দোলনের কর্মসূচি সফল করার মধ্য দিয়ে লক্ষ্য অর্জন করবো। আমরা আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো এবং তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারবো।’

আইনের যারা ব্যাখ্যা দেয় তারা বেআইনিভাবে ক্ষমতায় আছে বলেও উল্লেখ করেন গয়েশ্বর। সরকারের উদ্দেশে বিএনপি এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন। গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করেছেন। তাই আপনাদের মুখে আইনের ভাষা বেমানান। বেআইনি ক্ষমতায় আছেন। সুতরাং আমরা বলবো ন্যায়ের পথে চলেন, আইনের পথে চলেন।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগরী শাখার সদস্য রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।

এদিকে, সমাবেশ শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিছিল নিয়ে ফেরার পথে কাকরাইল মোড়ে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের সংঘর্ষ হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, ‘সমাবেশ শেষে আমরা মিছিল নিয়ে মৎস্য ভবন, কাকরাইল মোড় হয়ে বিজয়নগরের দিকে যাচ্ছিলাম। এ সময় মিছিলটি কাকরাইল মোড় অতিক্রম করার সময় পুলিশ আমাদের মিছিলে পেছন থেকে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।’

Powered by