রাজধানী

খাল দখল করলে কোনো কাউন্সিলরের পদ থাকবে না : আতিক

  প্রতিনিধি ১৯ মার্চ ২০২১ , ৭:৫৬:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

কোনো কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে খাল দখল বা কোনো অপরাধ প্রমাণিত হলে তার পদ থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘যদি তদন্তে প্রমাণিত হয়, কোনো কাউন্সিলর দখল করেছেন, অবশ্যই তার কাউন্সিলরশিপ বাতিল হয়ে যাবে। এমনকি দখলের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলেও কাউন্সিলরশিপ থাকবে না।’

শুক্রবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের স্লুইচ গেট এলাকায় খিদির খালের উপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নতুন খালের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন তিনি।

jagonews24

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘গত ১৬ মার্চ উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের এই জায়গায় এসে আমি লক্ষ্য করলাম, স্লুইচ গেট এলাকার ডানে ও বামে খিদির খাল থাকলেও মাঝখানের কানেক্টিভিটি নেই। এটি ভরাট করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে একটি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এরা অত্যন্ত শক্তিশালী। আমি গত মঙ্গলবার স্থানীয় সংসদ সদস্য, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, এলাকার জনসাধারণ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এটি ভেঙে দিয়েছি। এখানে খালের স্বাভাবিক গতি নষ্ট করে দেয়া হয়েছিল। আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় আমাকে এভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে হবে জনগণের সহায়তা নিয়ে।’

রাজউকসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার প্রতি নির্দেশনা দিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আপনাদের মানসিকতা পরিবর্তন করেন। শুধু প্লট বরাদ্দ দিলে হবে না, ঢাকা শহরে ডাম্পিং ইয়ার্ড নেই। তারা একটার পর একটা প্লট বরাদ্দ দিয়ে দিচ্ছে অথচ কোনো ডাম্পিং ইয়ার্ড নেই। খালের উপর বরাদ্দ দিচ্ছে, বিষয়টি ভাবতে হবে। খাল উন্মুক্ত রাখতে হবে। খাল ভরাট করলে চলবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি সব সংস্থার কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, কোনো কিছুর অনুমতি দেয়ার আগে সিএস ম্যাপ, আরএস ম্যাপ দেখুন, মহানগর জরিপ দেখুন তারপর চিন্তা-ভাবনা করবেন জায়গার বরাদ্দ দেবেন কী দেবেন না। আপনারা হুট করে দিয়ে দিবেন আর জনগণের ভোগান্তি হবে, এটা অত্যন্ত কষ্টকর। আপনারা সরেজমিনে এসে দেখে তারপর চিন্তা-ভাবনা করবেন কোথায় প্লট বরাদ্দ দেবেন।’

jagonews24

এ সময় উপস্থিত সবাইকে মেয়র বলেন, ‘দেখুন কীভাবে একটা রাস্তা সরু হয়ে গেছে। আমার অবাক লাগে, কীভাবে এই খালটা বন্ধ করে দিল! আমি আমাদের কাউন্সিলর এবং প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তাকে বলেছি এই খালের শেষ ম্যাপ দেখে কতটুকু চওড়া সেটা দেখে নির্ণয় করতে হবে। দরকার হলে পাশের হাসপাতালের ওয়ালটিও ভাঙতে হবে। হাসপাতালের পরিচালক সম্মতি দিয়েছেন। হাসপাতালের পরিচালক সাধুবাদ জানিয়েছেন। আমাকে বলেছেন, অবশ্যই মেয়র সাহেব আমার এখানে যতটুকু জায়গা আছে আমি ছেড়ে দেব। আমরা সকলের সহযোগিতায় এই উদ্ধার কাজ করতে পেরেছি। এজন্য তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই।’

গত মঙ্গলবার সমন্বিত মশক নিধন অভিযান পরিদর্শনকালে খিদির খাল এলাকায় থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খালটি খনন করে প্রবাহ ফেরানো হয়। তিন দিন আগেও এই খালের অস্বিত্ব ছিল না। খালের উপর একটি প্রতিষ্ঠান সেলস অফিস নির্মাণ করে দখল করে রেখেছিল। সেটি গুড়িয়ে দিয়ে নতুন করে খাল বের করেন মেয়র।

নতুন খনন করা খাল উদ্বোধনকালে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, স্থানীয় ৫১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শরীফুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর জাকিয়া সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by