রংপুর

গাইবান্ধার চরাঞ্চলে বাড়ছে ভুট্টা চাষ

  প্রতিনিধি ৩০ মার্চ ২০২১ , ৮:০২:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

মো. রাহুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা :

অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে অধিক ফলন হওয়ায় ভুট্টা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন গাইবান্ধা জেলার চরাঞ্চলের কৃষক। যে জমি দিনের পর দিন ছিল পতিত, চিক চিক করত কেবলই বালু, আজ সেখানে শোভা পাচ্ছে ফসলের ক্ষেত। চরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চাষ করা হয়েছে ভুট্টা। ফলনও হয়েছে ভালো।

 

যার কারণে আশার আলো দেখছেন লক্ষাধিক ভুট্টা চাষি। কৃষকরা আশাবাদী ফসল ঘরে তুলতে পারলে দ্বিগুন লাভবান হবেন তারা।

গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়িসহ ৭ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাসহ চরাঞ্চলে চাষ হয়েছে ভুট্টার। প্রতি বিঘা চাষে খরচ ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। উৎপাদন হয় ৪০ মণ ভুট্টা। খরচ কম, লাভ বেশি তাই কেউ জমি ফেলে রাখতে রাজি নয়। আগের চেয়ে এবার আরও বেশি চাষাবাদ হয়েছে হাইব্রীড জাতের ভুট্টা।

 

এবার ফলন ভালো এবং ও ভালো দামের আশায় চাষিরা। তারা জানান, এবার যে জাতটা পাওয়া গেছে বীজ-৭৭ ইউরিকা, এই জাতটা খুবই ভাল। এই ভুট্টা চাষ খরচের তুলনায় ফলন অনেক বেশি হয়। এবার মনে হয় অনেক লাভবান হবো, দুই থেকে তিন লাখ টাকা বিক্রির আশা করছি।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের বকসীপাড়া গ্রামের কৃষক মো. শাহ কামাল বলেন, যেভাবে ভুট্টার ব্যবহার বাড়ছে সে অনুযায়ী এ অঞ্চলে ভুট্টা ভিত্তিক কোনো কলকারখানা গড়ে উঠেনি। তাই এ অঞ্চলে ভুট্টার আটা ও পশু খাদ্য তৈরির মিল স্থাপন করা হলে ভুট্টা চাষ আরোও বৃদ্ধি পাবে এবং চাষিরা তাদের ফসলের ন্যায্যমূল্য পাবে।

ভুট্টা বিক্রি করে শুধু নগদ অর্থ প্রাপ্তিই নয়, ভুট্টা গাছ জ্বালানি হিসেবেও চরাঞ্চলের পরিবারের আনছে সাশ্রয়। নিজস্ব জ্বালানি চাহিদা প‚রণ করেও অনেক চাষি ভুট্টা গাছ বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে আরও লাভবান হচ্ছেন।

 

ভুট্টা চাষে কৃষি বিভাগ থেকে দেয়া হচ্ছে সহযোগিতা। গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান বলেন, প্রণোদনা এবং পুনর্বাসনের মাধ্যমে আমরা তাদেরকে সহায়তা করেছি বীজ এবং সার দিয়ে। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারীরা ভুট্টা চাষে কলাকৌশল দিয়ে সহায়তা করেছেন কৃষকদের। গাইবান্ধা জেলায় এবার ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by