চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ১৮টি আবাসিক হোটেলের লাইসেন্স বাতিল চেয়েছে পুলিশ

  প্রতিনিধি ২৪ জুলাই ২০২৩ , ৮:২১:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

চট্টগ্রাম ব্যুরো :

বার বার অভিযান, গ্রেপ্তার, মামলা এবং জরিমানার পরও অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ না হওয়া চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন ১৮টি আবাসিক হোটেলের লাইসেন্স বাতিল চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন জানিয়েছে কোতোয়ালী থানার ওসি মোঃ জাহিদুল কবির।

আবেদনে ওসি উল্লেখ করা হয়, এসব হোটেলগুলোতে অভিযান এবং বার বার সতর্ক করার পরও তারা বেআইনী কাজ চালিয়ে যান নানাভাবে। তাদেরকে নিয়ম নীতি মেনে ব্যবসা করতে বলা হলেও তারা কর্ণপাত করছেন না। লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী আবাসিক হোটেলে সাধারণ বোর্ডারদের কাছে রুম ভাড়া দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে অসামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এজন্য হোটেলগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি’।

লাইসেন্স বাতিল চেয়ে আবেদন করা হোটেলগুলো হলো কোতোয়ালী থানাধীন পুরাতন গির্জা সড়কের হোটেল লুসাই ইন, কে সি দে সড়কের হোটেল সাউদিয়া, লালদিঘির পাড় এলাকার হোটেল এস নাইট (সুপার গেস্ট হাউস), রঙ্গম কনভেনশন হল এলাকার হোটেল ক্যামেলিয়া (হোটেল স¤্রাট), ফিরিঙ্গিবাজার ব্রিজঘাট এলাকার হোটেল নেভাল আবাসিক ও হোটেল কর্ণফুলী আবাসিক, নন্দনকানন শিক্ষা অফিসের পাশে হোটেল মুসলিম আবাসিক ও হোটেল বিরাজ, বিআরটিসি এলাকায় হোটেল সিলভার ইন ও হোটেল হিলটাউন আবাসিক, স্টেশন রোডের হোটেল গেইটওয়ে আবাসিক, হোটেল মেট্রো ইন, হোটেল গেস্ট ইন, ইকবাল বোর্ডিং, হোটেল গণি আবাসিক ও হোটেল ঢাকা আবাসিক, জহুর হকার্স মার্কেটের পাশে লয়েল রোডে হোটেল দরবার আবাসিক ও হোটেল আদর আবাসিক।

কোতোয়ালী থানার ওসি মো. জাহিদুল কবীর বলেন, অভিযান, গ্রেপ্তার সবই চলে কিন্তু তারপরও তারা অসামাজিক কার্যকলাপ চালায়। বার বার বলার পরও তারা বিভিন্ন অপকৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করে। সেজন্য তাদের লাইসেন্স বাতিল করে একেবারে বন্ধ করে দেয়ার আবেদন জানিয়েছি।

আরও খবর

Sponsered content