প্রতিনিধি ১০ আগস্ট ২০২৪ , ৬:২৩:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ
সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার ঘটনায় চট্টগ্রামের চন্দনাইশে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের উদ্যোগে শুক্রবার বিকালে শোকরানা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মিছিলটি উপজেলার হাজী এনুমিয়া শপিং মলের সামনে থেকে শুরু হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সহ উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা সদরস্থ শাহ্ আমিন পার্কের সামনে এসে শেষ হয়। এ সময় উপজেলার জামায়াত ও ছাত্র শিবিরের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীদের স্লোগান দিতে দেখা যায়।
পরে উপজেলা সদর চৌরাস্তার মোড়ে উপজেলা জামায়াতের আমীর ও দক্ষিণ জেলা জামায়াতের শুরা সদস্য মাওলানা আইয়ুব আলীর সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সামাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
দক্ষিণ জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি হারুন উর রশিদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য সাইফুদ্দিন, অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা কুতুবউদ্দিন, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি কাজী আহছান পারভেজ, পৌরসভা জামায়াতের আমীর কাজী কুতুব উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা ছাত্রশিবিরের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার মো. মোকাম্মেল, প্রকাশনা সম্পাদক ইমাম হোছাইন, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি এডভোকেট জিয়াউর রহমান, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাবিব উল্লাহ ফয়সাল প্রমূখ। জামায়াতের সাথে সংহতি প্রকাশ করে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চন্দনাইশ পৌরসভা এলডিপির সভাপতি এম.আইনুল কবির।
এ সময় বক্তারা শেখ হাসিনার বিচার দাবি করে বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে খুনি, ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের পতনে দেশ আজ শৃংখলমুক্ত হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হবে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করা। সংখ্যালঘুদের উপর কেউ যাতে হামলা করতে না পারে এবং কোন রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করতে না পারে সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা অতদ্র প্রহরীর মতো বিভিন্ন মন্দির ও সংখ্যালঘুদের উপাসনালয় পাহারা দিচ্ছে। কোথাও কেউ চাঁদাবাজি করলে আমাদের খবর দিন, আমরা প্রতিহত করবো।”
পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের আত্মর মাগফিরাত কামনা ও আহতদের জন্য দোয়া মোনাজাত পরিচালনার মাধ্যমে সভা সমাপ্ত হয়।