প্রতিনিধি ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৮:১৭:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমেজ শেষ হতে না হতেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকায় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনের মাঠে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা পোস্টার-ফেস্টুন ব্যানার টাঙ্গিয়ে এলাকাবাসীর নজর কাড়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এদিকে বিভিন্ন কৌশলে ভোটারদের মন জয় করতে ও জনসমর্থন আদায় করতে সামাজিক, পারিবারিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। আবার অনেক প্রার্থীরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে উঠান বৈঠক এবং ভোটারদের দোয়া ও সমর্থন চাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ও চায়ের স্টলে প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে আসন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আগ্রহী প্রার্থীদের নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা। পছন্দের প্রার্থীকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দেখতে চেয়ে তাদের অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও স্ট্যাটাস দিচ্ছেন ও দোয়া চাচ্ছেন। ১টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদ গঠিত। মোট ভোটার সংখ্যা- ২লক্ষ ৫৬ হাজার ২শত ২১জন। এর মধ্যে পুরুষ-১,৩১,২৬৫ জন ও মহিলা-১,২৫,২৫৬ জন।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন নিয়মানুযায়ী সারা দেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারই ধারাবাহিক ভাবে আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের পরপর দ্বিতীয় ধাপে মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ছাড়া অনুষ্ঠিতব্য উন্মুক্তভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় দলীয় প্রতীক বিহীন চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নির্বাচনে মাঠে এবার প্রতিদ্বন্দিতা করতে হচ্ছে। মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার নাম প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে।
প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম এখন পর্যন্ত মাঠে শোনা যাচ্ছে তারা হলেন মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি ও মুকসুদপুর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো: হুজ্জত হোসেন লিটু মিয়া, মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এম মহিউদ্দিন আহম্মেদ মুক্তু মুন্সী,মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাপসি বিশ্বাস দূর্গা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য কাইমুজ্জামান রানা (বিবিএ এমবিএ), মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুল,ফরিদপুর সরকারি ইয়াসিন কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনীত প্যানেলের নির্বাচিত সাবেক সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক, ড্রীমওয়ে গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও খান্দারপাড় ইউনিয়ন হলধর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আলহাজ আবুল কাশেম রাজ ও মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মুকসুদপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক মো: রবিউল ইসলাম মোল্লা, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য, মুকসুদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও মুকসুদপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শাহরিয়ার বিপ্লব ।
তবে এবিষয়ে প্রার্থীদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বে- সামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি ও মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যদি কোন প্রার্থীকে চেয়ারম্যান পদে মৌন সমর্থন দেওয়া হলে সেক্ষেত্রে উপরে উল্লিখিত অন্য আগ্রহী প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে মৌন সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবে বলে তারা অনেকেই জানিয়েছেন। আর যদি কোন প্রার্থীকে মৌন সমর্থন দেওয়া না হলে নির্বাচনে কেউ কেউ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন বলে ভোরের কাগজের প্রতিনিধির কাছে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
তবে শেষ পর্যন্ত রাজনীতির মাঠে আলোচনা সমালোচনায় যতটুকু আবাস পাওয়া যাচ্ছে তাতে দলীয় ভাবে চেয়ারম্যান পদে মৌন সমর্থন দেয়ার সিদ্ধান্ত হলে সেক্ষেত্রে মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মুকসুদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: হুজ্জত হোসেন লিটু মিয়া এবং মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এম মহিউদ্দিন আহম্মেদ মুক্তু মুন্সী মধ্যে থেকে যে কোন একজন সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশী। এর বাইরে চমক হলেও হতে পারে।
এখন সব কিছু নির্ভর করছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বে-সামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি ও মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তের ওপরে।