ঢাকা

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১০

  প্রতিনিধি ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৪:৩৪:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১০

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে দুই বাসের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আরো ১০ জন।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার হিরণ্যকান্দি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাদৎ হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস বাসের চালক গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকার মন্টু শেখ (৫৫) এবং একই বাসের সুপারভাইজার বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার আরিফ হোসেন (৪০)।

শাহাদৎ হোসেন জানান, খুলনা থেকে সকালে ছেড়ে আসা টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বাসটি হিরণ্যকান্দি এলাকায় পৌঁছালে সাম্পান রেস্টুরেন্টের মধ্যে ঢুকতে থাকা সোহাগ পরিবহনের একটি বাসের পেছনে ধাক্কা মেরে সজোরে গাছের সঙ্গে গিয়ে ধাক্কা লাগে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস বাসের। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেলে ১২ জন আহত হন। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস বাসের চালক মন্টু শেখ ও সুপারভাইজার আরিফ হোসেনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকে। ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায় সোহাগ পরিবহনের বাস সিগন্যাল না দিয়ে সাম্পান হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে প্রবেশের জন্য হঠাৎ বামে টার্ন নিলে পিছনে থাকা টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস এ দুর্ঘটনায় পতিত হয়।

কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সুব্রত সাহা বলেন, হাসাপাতালে পৌঁছানোর আগেই ওই দু’জন মারা গেছেন। আহত অন্যদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে ঢাকা -খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সীমানায় একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন সাধারণ যাত্রী ও সচেতন মহল। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতের দাবিতে প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরও খবর

Sponsered content

সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহার মৃত্যুর পর ৩ জনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তৎকালীন বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের প্রধান লিয়াকত। এরমধ্যে ওসি ও এসপিও রয়েছে। হত্যার বিষয়ে কথা হলেও মাদক বা অস্ত্র উদ্ধারের কোন তথ্য ফোনালাপে পাওয়া যায়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘটনায় এসপির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকেও আনা হবে আইনের আওতায়। টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা নিহত হওয়ার পর বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনা তদন্তে কাজ করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। জানা গেছে, ৩১ জুলাই রাত ৯টা ৩০ মিনিটে তৎকালীন বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের প্রধান লিয়াকত তার ব্যক্তিগত মোবাইল থেকে তৎকালীন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপের অফিসিয়াল নম্বরে ফোন করেন। তিন মিনিট কথা বলেন তারা। এরপর ৯ টা ৩৩ মিনিটে মালখানার ইনচার্জ কনস্টেবল আরিফের ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করেন। তার সাথে ১ মিনিট কথা বলেন। এরপর ৯টা ৩৪ মিনিটে কক্সবাজারের পুলিশ সুপারের ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করেন লিয়াকত। সেখানে তাদের কথা হয় তিন মিনিট। কথোপকথনে লিয়াকত ঘটনা সম্পর্কে এসপিকে জানান। কিন্তু সেখানে মাদক ও অস্ত্র পাওয়ার কোন কথা উল্লেখ করেননি। এরপর ওসি প্রদীপ কুমার দাসের সাথে কথা হয় এসপির। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ঘটনাটি তদন্ত হচ্ছে। ঘটনায় এসপির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এসপির নাম যদি আসে আমরা দেখবো, যার নাম আসে দেখবো। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাউকেই ছাড় দিবেন না।’ তিনি আরো বলেন, ‘সাবেক মেজর সিনহার মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে যারাই দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে। তদন্তের মধ্যে যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন কিংবা যারা দোষ করেছেন বলে প্রমাণিত হবে তাদের তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের তাদের বিচার করা হবে।’ গত ৩১ জুলাই রাতে শামলাপুরের একটি পাহাড়ি এলাকায় শুটিং শেষে ফেরার পথে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৪ দল নেতাদের বৈঠক চলছে

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৪ দল নেতাদের বৈঠক চলছে

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ : মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও ৯ জন

সরাইলে প্রশাসনের কড়া নজরদারি, সচেতনতার অভাবে রাস্তায় জনগণ

ক্ষমতায় কে থাকবে সেই রায় জনগণ দেবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

রাষ্ট্রপতিকে কেউ নিয়োগ দেননি, তিনি নির্বাচিত: সিইসি