প্রতিনিধি ১৫ জুলাই ২০২৪ , ৩:৪৭:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের এক্স-রে যন্ত্রটি বিগত তিন বছর ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এ কারণে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের এক্স-রে করাতে হচ্ছে বাইরের বেসরকারি রোগ নির্ণয়কেন্দ্র থেকে।
এক্স-রে যন্ত্র চালু না থাকায় বিপাকে পড়েছেন দোহাজারী পৌরসভাসহ পার্শ্ববর্তী সাতবাড়িয়া, বৈলতলী, হাশিমপুর, ধোপাছড়ি ও সাতকানিয়া উপজেলার কালিয়াইশ, খাগরিয়া, নলুয়া, ধর্মপুর, পুরানগড় ইউনিয়নের গরিব অসহায় রোগিরা। হাসপাতালটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে হওয়ায় বেশির ভাগ সময় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীরা জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। তাদের এক্স-রের প্রয়োজন হয় বেশি। কিন্তু হাসপাতালের এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট থাকায় বাইরের বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এক্স-রে করাতে হচ্ছে।
দোহাজারী হাসপাতালটি নির্মিত হয় ১৯৬৫ সালে। পরবর্তীতে ১৯৮১ সালে ৩১ শয্যায় উন্নীত করা হয়। হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করার জন্য এলাকার সচেতন মহল দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা আমলে নিচ্ছে না। বর্তমানে হাসপাতালের বহিঃ বিভাগে প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চারশ রোগী চিকিৎসা নেয়। রোগী ভর্তি থাকে শয্যা সংখ্যার দ্বিগুন।
জানা যায়, হাসপাতালের এক্স-রে যন্ত্রটি বিগত ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে একবার অকেজো হয়ে প্রায় দেড় বছর সেবা বন্ধ ছিলো। পরবর্তীতে মেশিনটি মেরামত করে সেবা চালু করলেও দোহাজারী হাসপাতালে রেডিওগ্রাফারের পোস্ট না থাকায় ওই সময় সপ্তাহে দুই দিন সেবা দেওয়া হয়েছিলো।
অমল চন্দ্র রাজবংশী নামে একজন রেডিওগ্রাফার চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি দোহাজারী হাসপাতালেও এক্স-রে সেবা দিতেন বলে জানা গেছে। ২০২১ সালের জুন মাসে অমল চন্দ্র রাজবংশী বদলী হওয়ার পর অক্টোবর মাসে এক্স-রে যন্ত্রটি ফের অকেজো হয়ে যায়। এরপর বিগত দুই বছর ধরে দোহাজারী হাসপাতালের এক্স-রে যন্ত্রটির সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ রোগীরা।
এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ আহমেদ তানজিমুল ইসলাম বলেন, “আমি এই হাসপাতালে যোগদানের পর এক্স-রে যন্ত্রটি চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। তবে যন্ত্রটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কিছু পার্টস অকেজো হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে দুইজন মেকানিক এনে এক্স-রে মেশিনটা দেখিয়েছি। তিনি কিছু পার্টস লাগবে বলে জানিয়েছেন। পুরাতন মডেলের এক্স-রে যন্ত্রটির পার্টস ও ফ্লিম এর দাম বেশি এবং বাজারে অপ্রতুল হওয়ায় এক্স-রে যন্ত্রটি চালুর পদক্ষেপ পিছিয়ে যায়। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।”
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. আবদুল্লাহ আল ইফরান বলেন, “আমি যোগদানের অনেক আগে থেকেই দোহাজারী হাসপাতালের এক্স-রে যন্ত্রটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। নতুন এক্স-রে মেশিন পাওয়ার জন্য চাহিদাপত্র যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিতভাবে দেওয়া হয়েছে।”