বাংলাদেশ

দেশের ৯ জেলায় ছড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ, রাজধানীর ডেঞ্জার জোন মিরপুর

  প্রতিনিধি ১৭ জুন ২০২০ , ১২:৩২:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

দেশের ৯ জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকায়। তারপর মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ, গাইবান্ধা জেলার অবস্থান। এছাড়া কক্সবাজার, চুয়াডাঙ্গা, রংপুর, কুমিল্লা, গাজীপুর জেলায়ও রোগী আছেন।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) ওয়েবসাইটের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণকক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করে।

আইইডিসিআর এর তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৯ জেলার মধ্যে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ঢাকা জেলার পরেই মাদারীপুর জেলার অবস্থান। এ জেলায় আক্রান্ত ১০ জন। তারপর নারায়ণগঞ্জ ও গাইবান্ধা জেলা একই অবস্থানে রয়েছে। এই দুই জেলায় চারজন করে মোট ৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। কক্সবাজার, চুয়াডাঙ্গা, রংপুর, কুমিল্লা, গাজীপুর জেলায় একজন করে রোগী আছেন।

 এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৬ জন শনাক্ত হয়েছে ঢাকায়। রাজধানীর যে সব এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে তারমধ্যে মিরপুর অঞ্চল সবচেয়ে এগিয়ে। মণিপুর, সেনপাড়া, মিরপুর-১০ ও মিরপুর-১১ নম্বর এই তালিকায় রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণকক্ষের তথ্যমতে, রাজধানীর বাসাবো, পুরান ঢাকার বাংলাবাজার, মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া, হাজারীবাগ, মগবাজার, উত্তরা, উত্তরখান, যাত্রাবাড়ী, আজিমপুর, কলাবাগান, রামপুরা, মহাখালী, বনানী, গুলশান, বারিধারা, খিলক্ষেত এলাকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত‌ রোগী শনাক্ত হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিদেশফেরত মানুষের মাধ্যমেই দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ঘটেছে। ৬১ জন আক্রান্তের মধ্যে ১৬ জন বিদেশফেরত। বিদেশফেরতদের মধ্যে ইতালির ৬ জন, যুক্তরাষ্ট্রের ৩ জন, সৌদি আরবের ২ জন। এছাড়াও কুয়েত, বাহারাইন, ভারত, জার্মানি ও ফ্রান্সের একজন করে রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এই ১৬ জন দেশে আসে। এরপর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।

আইইডিসিআর এর তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর মিরপুর অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি নয়জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে মণিপুরে‌ পাঁচজন, সেনপাড়ায় দু’জন, মিরপুর ১০ ও ১১ নম্বর এলাকায় একজন করে রোগী আছেন। রাজধানীর বাসাবো এলাকায় চারজন, পুরান ঢাকার বাংলাবাজার এলাকায় তিনজন শনাক্ত হয়েছে। মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া, হাজারীবাগ, মগবাজার, উত্তরা ও উত্তরখানে দু’জন করে রোগী আছেন। এছাড়া যাত্রাবাড়ী, আজিমপুর, কলাবাগান, রামপুরা, মহাখালী, বনানী-গুলশান, বারিধারা ও খিলক্ষেত এলাকায় একজন করে রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২ হাজার ১১৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জনসহ মোট ৬১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৮ জন‌ পুরুষ। ২৩ জন নারী রয়েছেন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৬ জন। আইইডিসিআর এর অধীনে চিকিৎসাধীন ২৯ জন। এদের ২২ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকি সাতজন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে আইসোলেশন আছে ৮২ জন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by