বাংলাদেশ

দেশে কোনো খাদ্য সংকট নেই : খাদ্যমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ১৬ অক্টোবর ২০২৩ , ৮:৩২:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

দেশে কোনো খাদ্য সংকট নেই : খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন দেশে কোনো খাদ্য সংকট নেই, তাই আমাদের দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না। তবে ব্যবসায়ীদের সচেতন এবং ভোক্তাবান্ধব হতে হবে।

আজ সোমবার ( ১৬ অক্টোবর ) বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে তিনি এ কথা’ বলেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমাদের দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ বছর বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয়নি। সামনের দিনগুলোতে বিদেশে চাল রপ্তানি করা যায় কি না আমরা তা খতিয়ে দেখছি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের জীবনে পানির ব্যবহার সর্বত্র। এ পানির সদ্ব্যবহার করতে হবে। পানি ছাড়া ফসল উৎপাদন হবে না। ফসল না হলে আমরাও বাঁচতে পারব না। অনেকে বলেন এক কেজি ধান উৎপাদনে চার হাজার লিটার পানি দরকার হয়। কৃষকেরা অনেক সময় প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পানি সেচ কাজে ব্যবহার করেন। জনসচেতনতা বাড়িয়ে পানির অপচয় কমাতে হবে।

তিনি বলেন, বেশিরভাগ মানুষ সরু ও চকচকে চাল খেতে পছন্দ করে। বারবার ছাঁটাই করায় চালের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ এখন লাল চাল খায়। কারণ লাল চালে পুষ্টি বেশি। ভোক্তারা লাল চাল খেলে মিল মালিকরাও ব্যবসায়িক কারণে চকচকে চাল তৈরি করার আগ্রহ হারাবে। আমরা জনগণের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেই লাল চাল খাওয়ার পরামর্শ দেই।

সাধন চন্দ্র মজুমদার আরো বলেন, দেশে জমি কমেছে কিন্তু জনসংখ্যা বেড়েছে। সরকার জনসংখ্যাকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে। আমরা চাল, মাছ, আম ও সবজি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। অনেক ফসল মৌসুমের সময় সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়। প্রক্রিয়াজাত করে আম ও সবজি রপ্তানি করতে পারলে আমাদের কৃষকরা লাভবান হবে। 

মন্ত্রী বলেন, বোরো ধানের আবাদ ভালো হয়েছিল। বোরোর মতো আমনের আবাদেও বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে। দেশে কোনো খাদ্য সংকট নেই, তাই আমাদের দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না। তবে ব্যবসায়ীদের সচেতন এবং ভোক্তাবান্ধব হতে হবে। দিনাজপুরে যে দামে চাল বিক্রি হয়, সেই চাল ঢাকায় এসে দাম অনেক বেড়ে যায়। এ প্রবণতা ছাড়তে হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by