চট্টগ্রাম

দোহাজারীতে ড্রেনের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে নির্মাণ কাজ!

  প্রতিনিধি ২ জুন ২০২৪ , ৪:৫১:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

দোহাজারীতে ড্রেনের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে নির্মাণ কাজ!

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভায় পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে নির্মাণ কাজ। এতে করে ড্রেনের ভবিষ্যৎ কার্যকারিতা নিয়ে জনমনে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।স্থানীয়রা বলছেন, ড্রেনের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকলে পানি ও ময়লা ভালোভাবে নিষ্কাশন হবে না।

পরে ময়লা জমে গিয়ে ড্রেনের মুখ বন্ধ হয়ে যাবে। বৈদ্যুতিক খুঁটি সরিয়ে ড্রেন নির্মাণ করা না হলে ভবিষ্যতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হবে।জানা যায়, দোহাজারী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মতিউর রহমান শাহ্ জামে মসজিদ থেকে দোহাজারী রেললাইন পর্যন্ত একাধিক এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন‍্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল রাখতে ২০২০-২১ অর্থবছরে গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর আওতায় ৬৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১ মিটার প্রস্থের আরসিসি ইউ ড্রেনটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় দোহাজারী পৌরসভা। এতে ব্যয় ধরা হয় সর্বমোট ৯৯ লাখ ৪২ হাজার ৩৯৯ টাকা।

কাজ পায় “চারু কর্পোরেশন” নামক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।পূর্ব দোহাজারী আজগর আলী বাড়ি এলাকার বাসিন্দা আহমদ মিয়া বলেন, “ড্রেনের প্রস্থ হচ্ছে তিন ফিট। মাঝখানে থাকা বিদ্যুৎ খুঁটির প্রস্থ এক ফিট। ড্রেনের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকলে পানি ও ময়লা ভালোভাবে নিষ্কাশন হবে না। খুঁটিটি অপসারণ করলে সব ময়লা পানি সুন্দর মতো বের হয়ে যেতে পারবে।”মাঝখানে খুঁটি রেখে ড্রেইন নির্মাণ কাজ করার বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মোহাম্মদ এহছানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, “বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর দায়িত্ব আমার না ওটা পৌরসভা ও বিদ্যুৎ অফিসের দায়িত্ব।

প্রতিটি নির্মাণ কাজে ড্রেনের মাঝখানে এমন খুঁটি বা গাছ থাকলে সেসব সরানো বা অপসারণের জন্য বরাদ্দ থাকে। কিন্তু এই খুঁটিগুলো সরানোর জন্য এই প্রকল্পের ইস্টিমেটে কোন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।”এ ব্যাপারে দোহাজারী পৌরসভার মেয়র আলহাজ মোহাম্মদ লোকমান হাকিম বলেন, “প্রাক্কলন প্রস্তুত করে ওই প্রকল্পটি যখন সংশ্লিষ্ট অফিসে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় তখন অ্যালাইনমেন্ট বরাবর বৈদ্যুতিক খুঁটি ছিল না। প্রাক্কলন অনুমোদিত হয়ে আসার পর দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নিয়োগপূর্বক কার্যাদেশ দিয়ে কাজ শুরু করার কিছুদিন আগে ড্রেনের অ্যালাইনমেন্ট বরাবর ওই খুঁটিগুলো স্থাপন করা হয়।

খুঁটিগুলো সরানোর জন্য পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ থেকে বিগত ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর পিডিবি’র দোহাজারী কার্যালয়ের আবাসিক প্রকৌশলী বরাবরে পত্র প্রেরণ করলে তিনি পৌর কর্তৃপক্ষকে খুঁটিগুলো অপসারণ করতে বলেন। হাই ভোল্টেজের সঞ্চালন লাইন সংযুক্ত বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো পৌরসভার পক্ষে সরানো সম্ভব না হওয়ায় ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট পিডিবি’র পটিয়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে পত্র প্রেরণ করে সহযোগিতা চাওয়া হয়। তাতে সাড়া দেয়নি পিডিবি কর্তৃপক্ষ।

পৌরসভার সাথে সমন্বয় না করে পিডিবি যত্রতত্র বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপনের ফলে ব্যাহত হচ্ছে পৌরসভার অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ। ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করতেও সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবো।”

আরও খবর

Sponsered content