প্রতিনিধি ১৬ এপ্রিল ২০২০ , ৪:১৯:০২ প্রিন্ট সংস্করণ
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর উপজেলার থানাকন্দি গ্রামে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিবাদমান দুই গ্রæপের দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রামের প্রভাবশালী আবু মেম্বার গ্রæপের বর্তমান দলনেতা কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানকে গতকাল ভোরে ঢাকার কলাবাগান তার এক আত্মীয় বাসা থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রামের অপর প্রভাবশালী মোসলেম মেম্বার গ্রæপের বর্তমান দলনেতা মোহাম্মদ আবু কাউছার মোল্লাকে গভীর রাতে আশুগঞ্জের বাকেরঘর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে। কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ৪টি গ্রাম গৌরনগর, হাজীর হাটি, সাতঘর হাটি ও থানাকান্দি এই চারটি গ্রামে গত ৩৫ বছর যাবত এ খুন খারাপী চলে আসছে। ওই দুই গ্রæপই এ চারটি গ্রামকে নিয়ন্ত্রন করে। এলাকার পরিবেশ থমথমে ভাব বিরাজ করছে। ওই দুই দলনেতাসহ পুলিশ সংঘর্ষে জড়িত ৪২জনকে গ্রেফতার করেছে।
পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে পর্যাপ্ত পরিমান অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওই চারটি গ্রাম এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(নবীনগর সার্কেল) মোকবুল হোসেন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় ওই দুই নেতাসহ ৪২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাটা পা নিয়ে জয়বাংলা,জয়বঙ্গবন্ধু বলে শ্লোগান দেওয়া মিছিলকারিদের পুলিশ খোঁজছে। তাদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য গ্রাম্য আধিপত্যের ওই জের ধরে গত রবিবার কাউছার মোল্লা গ্রæপের লোকজন প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। এতে প্রায় অর্ধশত লোক আহত হয়। আবু মেম্মার বাড়িসহ প্রায় ৩০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় বাড়ি ঘরে লুটপাট চালানো হয়। হামলাকারিরা জিল্লুর চেয়ারম্যান গ্রæপের মোবারক হোসেন(৪৫)পা কেটে নিয়ে যায়।এ কাটা পা নিয়ে জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলে মিছিলের দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।