দেশজুড়ে

নেপাল ও ভুটানকে মোংলা বন্দর ব্যবহারের আহবান জানালেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা

  প্রতিনিধি ৬ নভেম্বর ২০২৪ , ৬:২৭:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

নেপাল ও ভুটানকে মোংলা বন্দর ব্যবহারের আহবান জানালেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা

প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল ও ভুটানকে মোংলা বন্দর ব্যবহারের আহবন জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। বুধবার (০৬ নভেম্বর) সকালে বাগেরহাট জেলার মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে সাংবাদিকদের দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এই আহবান জানান।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মোংলা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর।ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় এ সমুদ্র বন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানী ঢাকা থেকে বন্দরটির সড়ক পথে দুরত্ব মাত্র ২১০ কিলোমিটার। এছাড়াও বন্দরটির সাথে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য প্রান্তের সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি  রেল ও নৌযোগাযোগ রয়েছে। এজন্য মোংলা বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নত করা হবে। বন্দরের সক্ষমতা কয়েকগুন বৃদ্ধি করা হবে। এতে মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী যেমন বাড়বে, তেমনি চট্টগ্রাম বন্দরের উপর চাপ কমবে বলে দাবি করেন এই উপদেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতিতেও মোংলা বন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও, বন্দরের প্রচার-প্রচারণা তেমন নাই। বন্দর বলতে মানুষ চট্টগ্রামকেই বোঝে, এই চিন্তা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে।এজন্য আমরা বিভিন্ন রাষ্ট্রদূত ও বিদেশী এ্যাম্বাসি অফিসকে প্রচার প্রচারণা চালানোর অনুরোধ করেছি। সাথে সাথে সমুদ্রগামী সকল জাহাজ ও সমুদ্রকেন্দ্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রতিষ্ঠানকেও মোংলা বন্দরের প্রচার-প্রচারণা চালাতে বলা হয়েছে।

এর আগে সকালে জেলার মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে মোংলা বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে সভা করেন উপদেষ্টা। পরে মোংলা পশুর চ্যানেলের বিভিন্ন এলাকা, ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ভিটিএমআইএস) ও বজ্র ব্যবস্থাপনা এলাকা পরিদর্শন, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এরিয়া ও স্থায়ী বন্দর জেটি এলাকা পরিদর্শন করেন। মোংলা বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। এছাড়া বন্দরের উন্নয়নে চলমান প্রকল্পসহ নতুন নতুন প্রয়োজনীয় নানা প্রকল্প গ্রহনের আশ্বাস দেন এই উপদেষ্টা।

আরও খবর

Sponsered content