প্রতিনিধি ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৩:৫৮:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) প্রেসক্লাবের আয়োজনে জুলাই বিপ্লব ও ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি ) নোবিপ্রবি ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল ও মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, শুরুতেই স্মরণ করছি জুলাই বিপ্লবে যাঁরা শহিদ হয়েছেন তাঁদেরকে। আল্লাহ তাঁদেরকে বেহেশত নসীব করুন। যাঁরা এখনো আহত অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় আছেন আমরা দোয়া করি যেন তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন। চব্বিশের এ বিপ্লবে আমরা একটা বড় প্রজন্মকে হারিয়েছি তাঁদের বিনিময়ে যে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুযোগ আমরা পেয়েছি সেই সুযোগকে যেন আমরা সবাই কাজে লাগাই সেটাই আমাদের আজকের প্রতিপাদ্য হওয়া উচিৎ। ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতা সবসময়ই একটা বড় চ্যালেঞ্জিং বিষয়। বিশেষ করে বিগত ষোল-সতেরো বছরে কোনো দুর্নীতি, নিয়োগ অনিয়ম, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বিষয়ক কোনো সংবাদ প্রচারিত হলে প্রত্যেক সাংবাদিককে বিভিন্ন কারণে নিপীড়িত, নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত হতে হয়েছে। আমাদের নোবিপ্রবির সাংবাদিক বন্ধুগণ, আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থীরাও এর বাইরে ছিলোনা। অনেকেই অনেকভাবে নির্যাতিত হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা চাই বিপ্লবের পরবর্তী এই নতুন বাংলাদেশে এধরণের পরিস্থিতি যেন আর না হয়। আমাদের শিক্ষার্থীরাসহ সারা দেশে যাঁরা সাংবাদিকতায় যুক্ত আছেন তাঁরা সমাজ ও দেশের দর্পণ। আমরা চাই তাঁরা অন্যায়কে তুলে নিয়ে আসুক, ন্যায়কে প্রচার করুক, অসত্যকে তুলে নিয়ে আসুক, কীভাবে সত্য দিয়ে কাজ করা যায় সেটাকে প্রচার করুক। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করুক এবং দুর্নীতিসহ যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রথম ব্যক্তিই যেনো আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা হয় সেটাই হওয়া উচিৎ আমাদের এই জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য অন্যতম বিষয়।
মূখ্য আলোচক প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ বলেন, সবার চাওয়া যখন এক হয়ে গেছে তখনই সেটা হলো জুলাই বিপ্লব। আপনি যে প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিক হবেন সে প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার মধ্যে রাখাই আপনার মূল কাজ। সাংবাদিকতা করার মধ্য দিয়ে অনেকগুলো মহৎ কাজ আপনারা বাই-প্রোডাক্ট হিসেবে করতে পারবেন। সাংবাদিকরা গত ষোল বছর যেভাবে সাংবাদিকতা করার কথা ভেবেছেন সেভাবে হয়তো করতে পারেননি। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই অর্ন্তবর্তীকালীন সময়ে আপনারা সাংবাদিকতাকে উপভোগ করেন। এসময় সাংবাদিকতার জন্য আপনাদেরকে কেউ গলা চেপে ধরবেনা।
নোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সভাপতি আজহারুল মিজানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন নোবিপ্রবি প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আবদুল কাইয়ুম মাসুদ এবং কামারুজ্জামান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন নোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাহি রহমান। নোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন মিয়া। এসময় নোবিপ্রবি ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীরুল ইসলাম সম্পাদিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
উল্লেখ্য, নোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উক্ত সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।