দেশজুড়ে

নোবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচির হুশিয়ারি

  প্রতিনিধি ১৮ আগস্ট ২০২৪ , ৬:৩৮:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

নোবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচির হুশিয়ারি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল বাকী ও রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন  স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে আমরণ অনশন কর্মসূচির হুশিয়ারি দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

আজ রবিবার (১৮ আগস্ট)  উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে  স্টেপ ডাউন কর্মসূচি পালন করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দেওয়া শাট ডাউন কর্মসূচি থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ আছে। তালা দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন অফিসে।

আন্দোলনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে ভিসি বাংলোর সামনে গিয়ে শেষ হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন প্রদক্ষিণ করে ভিসি বাংলোর সামনে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।পরে নোবিপ্রবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন। 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ” ভিসি, প্রোভিসি ও রেজিস্ট্রার হলো স্বৈরাচারী। এই ভিসি আমরা চাইনা। অবিলম্বে এই প্রশাসনের পদত্যাগ করতে হবে। আমরা এই নির্লজ্জ ভিসিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি।  এই ভিসি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে এক যুগ পিছিয়ে রেখেছে। পদত্যাগ না করলে আমরণ অনশনের হুশিয়ারি দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।”

বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, ” ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা যখন পুলিশের দ্বারা হয়রানির শিকার তখন নিলজ্জ ভিসি ক্যাম্পাসকে অরক্ষিত রেখে ঢাকায় গিয়ে আরাম করে। আন্দোলনে আমার ভাইয়েরা রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে। তখন ভিসি আগষ্ট মাসব্যাপী নানা কর্মসূচির ঘোষণা দেন এবং শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জলন করেন। তিনি আরো বলেন, এই ভিসি, প্রো – ভিসি, রেজিস্ট্রার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো। 

আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষাথীরা বলেন, ” আমাদের ভাই বোনেরা যখন পুলিশ এবং ছাত্রলীগের নেতাদের দ্বারা মার খায় তখন এই নিলজ্জ ভিসি জন্মদিন পালন করে। ক্যাম্পাসে সকল ধরণের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পরেও ফ্যাসিস্ট সরকারের শিক্ষকদের দ্বারা গঠিত সংগঠন শিক্ষক সমিতিকে নিয়ে উপাচার্য শিক্ষা কমিটি গঠন করে। এই ভিসি পদত্যাগ না করে দলগঠন করে পদে বহাল থাকার পায়তারা সাজায়। আর গণমাধ্যমকে বলে, সে পদত্যাগ করার কোনো কারণই খুঁজে পাচ্ছেনা। এই নিলজ্জ ভিসির পদত্যাগ ছাড়া আমরা কেউ ক্লাসে ফিরবোনা।”

আরও খবর

Sponsered content