বাংলাদেশ

নয়াপল্টনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সমাবেশে নেতাকর্মীদের ভিড়

  প্রতিনিধি ১০ নভেম্বর ২০২২ , ৫:৪৩:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশ আজ। এ সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং তারেক রহমান ও তাঁর সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

নেতাকর্মীদের খণ্ড খণ্ড মিছিল সমাবেশে জড়ো হতে শুরু করেছেন। ব্যানারসহ মাথায় ব্যান্ড লাগানো নেতাকর্মীদের অনেকের হাতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্ল্যাকার্ড বহন করছেন। রং-বেরংয়ের গেঞ্জি পরে ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও ঢাকার আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনমুখী।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় এ সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সভামঞ্চের সামনে জায়গা পেতে দুপুর ১২টার আগে থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা আসতে থাকেন। অনেকে ব্যাগে করে দুপুরের খাবারও নিয়ে এসেছেন। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, ঢাকা উত্তরের পল্লবী ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল আসছে।

গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হালিম মোল্লা শতাধিক নেতাকর্মীদের মিছিল নিয়ে ১২টার দিকে নয়াপল্টনে আসেন। প্রত্যেকে মাথায় একই রকমের ক্যাপ পরিহিত ছিলেন।

হালিম মোল্লা বলেন, ‘মামলা-হামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীরা দীর্ঘ ১৪ বছর ঘরবাড়ি ছাড়া। তাদের আর হারানোর কিছু নেই। এবারের আন্দোলন হচ্ছে তাদের জীবন-মৃত্যুর। হয় দেশে গণতন্ত্র ফিরবে, নয়তো মৃত্যুবরণ করতে হবে। সংগঠনের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানের নেতৃত্বে তারা যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছেন।’

হালিম মোল্লা আরও বলেন, ‘সমাবেশ শুরুর পর আর খাওয়ার সুযোগ তাদের হবে না। তাই সমাবেশের ফাকে খাবার খেয়ে নিতে তিনি এ উদ্যোগ নিয়েছেন। যাতে নেতাকর্মীরা শেষ পর্যন্ত সমাবেশে থাকতে পারেন।’

ঢাকা মহানগরের স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী ইলিয়াস বলেন, তারা সাড়ে ১১টা থেকে নাইটেঙ্গেল মোড়ে জড়ো হন। এর কিছুক্ষণ পর তারা মিছিল নিয়ে নয়াপল্টন যান।

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, ‘সরকারের অত্যাচার নির্যাতনের পরও নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। গ্রেপ্তারের আতঙ্ক থাকলেও এখন আর তারা সেটাকে পরোয়া করছেন না। সাধারণ জনগণও অতীষ্ঠ হয়ে ব্যাপকহারে অংশ নিচ্ছেন। এবার দেশের মানুষের বিজয় হবেই, ইনশাআল্লাহ।’

আরও খবর

Sponsered content