দেশজুড়ে

পঙ্গু মেয়ের জন্য একটি হুইল চেয়ারের আকুতি অসহায় বাবার

  প্রতিনিধি ১১ আগস্ট ২০২১ , ৮:০৬:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ফজলুর রহমান, পীরগাছা (রংপুর) :

‘পঙ্গু মেহেরন বেগম (৪৫)। মেয়ে পঙ্গু ছিল না, বিয়ে দেয়ার কিছুদিন পর গায়ে ব্যাথা অনুভব হয় পরে সে দিনে দিনে বিনা চিকিৎসায় পঙ্গুত্ব বরণ করে। অবশেষে জামাই নিঃসন্তান মেয়েকে আমার বাড়িতে রেখে যায়। তিনবেলা খাবার যোগাতে পারিনা চিকিৎসা করামু কি দিয়া?’ এভাবে কথাগুলো বলেছিলেন রংপুরের পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের রহমতচর গ্রামের অসহায় বৃদ্ধ বাবা মেছের আলী। উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের রহমতচর গ্রামে বৃদ্ধ বাব-মায়ের বাড়িতে কোমর থেকে অবশ পঙ্গু মেহেরন বেগমের সময় যাচ্ছে। ঠিকমতো কথাও বলতে পারে না মেহেরন বেগম।

পরিবারের আয় বলতে বৃদ্ধ বাবার বয়স্ক ভাতা। তা দিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন যায়। পাঁচ শতক মাটিতে ভঙা চুড়া টিনসেট ঘর। ছোট চালার ঘর একটি। তারও টিনে ফুটো হওয়ায় বৃষ্টির পানি পড়ে ঘরের ভিতরে। অসুস্থ মেয়ের পঙ্গু ভাতা ও সরকারী পাঁকা ঘরের জন্য মেহেরন বেগমের বৃদ্ধ বাবা চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে ছোটাছুটি করলেও কিছু মেলেনি।

মেহেরন বেগমের বাবা মেছের আলী(৭০) জানান, টাকা দিতে পারিনি বলে পঙ্গু মেয়ের ভাতাসহ সরকারি ঘর পাইনি। সরকার অসহায় মানুষকে পাঁকা ঘর দিচ্ছে। অসহায় মানুষের কপালে কি পাঁকা ঘর জুটবে বাহে। দরিদ্র পরিবারটির একটি হুইল চেয়ার কেনার সামর্থ না থাকায় আপাতত অসুস্থ পঙ্গু মেয়ের জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে একটি হুইল চেয়ারের আকুতি জানিয়েছেন অসহায় বৃদ্ধ বাবা মেছের আলী।

স্থানীয় ইয়াকুব আলী আক্কু জানান, একটা হইল চেয়ারের অভাবেই মেহেরন বেগম সারাদিন ঘরের মধ্যে থাকেন। কেউ যদি একটি অসহায় বাবার আকুতি পূরনের জন্য একটা হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দিতেন খুবেই ভালই হতো। তাম্বুলপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাহেব আলী জানান, তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। সুযোগ না থাকায় দেয়া সম্ভব হয় না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শামসুল আরেফীন জানান, আমাকে নাম ঠিকানা এসএমএস করে দেন। আমি বিষয়টি দেখছি।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by