প্রতিনিধি ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৫:৪২:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেছেন, পাট উৎপাদিত দ্রব্যমূল্য যাতে কৃষি পন্য হিসেবে প্রনোদনা পায় সেটি নিয়ে কাজ করছে সরকার। পাট নিয়ে সরকারের ব্যাপক চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা খুবই আগ্রহী। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি যাতে পাটকে একটি লাভজনক পন্য হিসেবে বহুমুখি ব্যবহার করা যায়।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে দিনাজপুরের নশিপুরস্থ বাংলাদেশ পাট গবেষনা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) এর পাট বীজ উৎপাদন গবেষনা কেন্দ্রের আয়োজনে “পাট ও পাট জাতীয় আঁশ ফসলের উন্নত জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি বিয়ষক দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষন” এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষি সচিব আরো বলেন, পাটকে আমরা অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকি এবং আমরা ২৫ বছর ব্যাপী একটি লম্বা পরিকল্পনার মধ্যে আছি। যে পরিকল্পনায় পাটকে কিভাবে অর্থকরি ফসল হিসেবে কৃষকদের লাভজনক পরিবেশ সৃষ্টি করা যায় সেটি নিয়ে কাজ করছি।
বিজেআরআই এর মহাপরিচালক ড. নার্গীস আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের গবেষনা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবলু। কৃষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মো. দবিরুল ইসলাম ও উদয় রায়।
আয়োজকরা জানান, প্রশিক্ষনে দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও নীলফামারী জেলার ৫০ জন কৃষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষনে অংশ নেন। আলোচনা শেষে বিজেআরআই তোষা পাট-৯ (সবুজ সোনা) ও কেনাফ এইচসি-৯৫ জাতের বীজ কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
এসময় পাট বীজ উৎপাদন ও গবেষণা কেন্দ্র, নশিপুর, দিনাজপুর ফার্মের ইনচার্জ ড. মো. রিশাদ আব্দুল্লাহ, খামার প্রধান ড. রনজিত কুমার ও পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ড. মো. ইয়ারউদ্দিন সরকাসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
পরে পাট বীজ উৎপাদন ও গবেষণা চত্বরে একটি বারো মাসি কাঁঠাল গাছের চারা রোপন করেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।