দেশজুড়ে

পীরগাছার আব্দুল খালেক এখন ফেরিওয়ালা

  প্রতিনিধি ২৯ এপ্রিল ২০২০ , ৭:২১:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি :   করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ব্যবসার ধরন বদলে দিয়েছে রংপুরের পীরগাছার বাসিন্দা আব্দুল খালেক। আগে দোকানে বসে বই, খাতা, আতর, টুপি ও তাবিজের খোলসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে গেছে দোকান। তাই জীবন বাঁচাতে এখন ফেরি করে বিক্রি করছেন মাস্ক ও হ্যান্ড গøাভসসহ বিভিন্ন সামগ্রী। বুধবার পীরগাছা রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায় তিনি ফেরি করে এসব সামগ্রী বিক্রয় করছেন।
আব্দুল খালেকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, করোনার কারণে অনেকের মতো আমারও ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। আগের মতো আর দোকান খুলতে পারেন না। চুরি করে দোকান খুললেও পুলিশ এসে ঝামেলা করে। দোকান বন্ধ থাকায় আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যায় তার। কিছুদিন বাড়িতে বসে থাকেন। তারপর সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে ব্যবসার ধরন পাল্টে ফেলেন তিনি। এখন ফেরি করে মাস্ক, টুপি, গøাভস, বিøচিং পাউডার ও ছোট আকারের স্প্রে মেশিন বিক্রি করছেন।
আব্দুল খালেক আরও বলেন, আগত মোর ইনকাম খারাপ আছিল না। সারাদিন বেচে ৪শ থেকে ৫শ টাকা থাকতো। করোনার জন্য সব বন্ধ হয়া গেইছে।
তার পাশে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে দেখা যায়, সার্জিক্যাল মাস্ক ৩০ টাকা ও টুপি ১০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। গøাভস বিক্রি হচ্ছে ৩০টাকা জোড়া। এ সবকিছু তিনি পাইকারি বাজার থেকে এনে বিক্রি করছেন।
মাঝে কিছুদিন ব্যবসা বন্ধ থাকলেও কারো কাছে হাত পাততে হয়নি আব্দুল খালেককে। জমানো টাকায় কিছু দিয়ে সংসার চালিয়েছেন। আর বাকি টাকায় নতুন ব্যবসায় পুঁজি খাটিয়েছেন।
বিক্রি কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি জানান, স্টেশন এলাকায় নিয়মিত এসব বিক্রি করছেন। এখানে মাস্কের চাহিদা বেশী। বাজারে দোকানপাট বন্ধ। তাই সবখানে এসব জিনিস পাওয়া যাচ্ছে না। তাই তার বিক্রি বেড়েছে।
শুধু স্টেশন এলাকায় কেন বিক্রি করেন জানতে চাইলে আব্দুল খালেক বলেন, এখন তো দিনের বেলা সব এলাকা শ্মশান। মানুষ খুঁইজা পাওয়ান যায় না। তাও ইস্টিশন এলাকাত দুই-চার জন লোক পাওয়ান যায়।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by