ফুটবল

ফুটবল যারা ভালোবাসেন তারা আমার পক্ষে, জয়ের পর সালাউদ্দিন

  প্রতিনিধি ৪ অক্টোবর ২০২০ , ১১:০৪:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

ফলাফল পাওয়ার পর জয় নিয়ে কথা বলেন বাফুফে প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন।

ভোরের দর্পণ অনলাইন:

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। উৎসবমুখর পরিবেশে হওয়া এই নির্বাচনে জয়ের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘ফুটবল যারা ভালোবাসেন, যারা ফুটবল করেন তারা আমার পক্ষে।’

শনিবার রাতে সালাউদ্দিন বলেন, ‘ভোটারদের নিয়ে মিডিয়ায় অনেক কথা শুনেছি। ভোটাররা আমাকে ভোট দেবে না নাকি, এমন অনেক কথা শুনেছি। ২০০৮ সালে আমি ৮০ ভোটে জিতেছি, এরপর ৮৪ ভোটে জিতে সভাপতি হয়েছি, এবার পেয়েছি ৯৪। আমি তো দেখছি আমার ভোট বাড়ছে। তো মানুষ যাই বলুক না কেন, ফুটবল যারা করেন, যারা ফুটবলের সঙ্গে আছেন তাদের কাছে তো আমি জনপ্রিয়। ধন্যবাদ সবাইকে।’

বাফুফে সালাউদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী বাদল রায় পেয়েছেন ৪০ ভোট এবং শফিকুল ইসলাম মানিক পেয়েছেন ১ ভোট। রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে ভোটের পর রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন বাফুফে’র নির্বাচন কমিশনার মেসবাহ উদ্দিন।

দুপুর ২টায় ভোট শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হওয়া ভোটের ফলাফল। সালাউদ্দিনের সম্মিলিত প্যানেল থেকে ৯১ ভোট পেয়ে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুস সালাম মুর্শেদী। একই পদে অপর প্রার্থী সমন্বয় পরিষদের শেখ আসলাম পান ৪৪ ভোট। এ ছাড়া চার সহ-সভাপতি পদে সম্মলিত পরিষদ থেকে ইমরুল হাসান ৮৯, কাজি নাবিল আহমেদ ৮১, আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

এ নির্বাচনে ১৩৯ জন কাউন্সিলর একজন করে সভাপতি ও সিনিয়র সহসভাপতি, চারজন সহসভাপতি এবং ১৫ জন সদস্যকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করেন। ভোটে উপস্থিত ছিলেন ১৩৫ জন কাউন্সিলর।

নির্বাচনে চট্টগ্রাম আবাহনীর তরফদার মো. রুহুল আমিন ছাড়াও ফরিদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের মাকসুদুর রহমান ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সাফওয়ান সোবহান ভোট দিতে আসেননি। অর্থ পাচার মামলায় খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী কারাগারে রয়েছেন।

বহুল আলোচিত এবারের নির্বাচনে ২১ পদের জন্য লড়েন ৪৭ প্রার্থী। দুটি প্যানেল প্রকাশ্যে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিল। একটি হলো কাজী সালাউদ্দিন-সালাম মুর্শেদীর সম্মিলিত ফুটবল পরিষদ, অন্যটি হলো শেখ আসলাম-মহির নেতৃত্বাধীন সমন্বয় পরিষদ। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট পদে সালাউদ্দিনের বিপরীতে ছিলেন বাদল রায় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়েছেন শফিকুল ইসলাম মানিক।

আরও খবর

Sponsered content