প্রতিনিধি ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৬:৫০:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে চাকরি স্থায়ীকরণ সহ পাঁচদফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছে আউটসোসিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত অস্থায়ী কর্মচারিরা। এতে খনির দাপ্তরিক কাজে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।
পাঁচ দফা দাবীতে কেন্দ্রীয় আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী)
থেকে শুরু হওয়া এই কর্মবিরতি (২৬ ফেব্রুয়ারি) বুধবারও পালন করছেন খনির আউটসোসিংয়ে মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত ২৮০ জন কর্মচারি।
আন্দোলনকারিদের পাঁচদফার মধ্যে রয়েছে, চাকরি স্থায়ীকরণ, বেতনবৈষম্য দূরীকরণ, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, বৈশাখী ভাতা, ওভার টাইমসহ উৎসব বোনাস ও নৈমিত্তিক ছুটিসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রদান করা।
আউটসোর্সিং কর্মচারীরা বলেন, দির্ঘ ১৫ থেকে ২০বছর ধরে একই প্রতিষ্ঠানে তারা সেবা দিয়ে আসছেন। একই প্রতিষ্ঠানে একই পদে চাকরি করলেও স্থায়ী কর্মচারীদের তুলনায় বৈষম্যের শিকার তারা। বেতনবৈষম্যের সাথে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, বৈশাখী ভাতা, উৎসব ভাতা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত এই কর্মচারীরা।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ২০১৮ সালে প্রজ্ঞাপণ জারী করে আউটসোর্সিং কর্মচারিদের ওভার টাইম, উৎসব বোনাস, মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা বাতিল করা হয়। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েন কয়লাখনির ২৮০ কর্মচারি। এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলে আশার আলো জেগেছে কর্মচারিদের মাঝে।
কর্মচারীরা আরও বলেন, বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারি কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে ঢাকায় আন্দোলন করলে অর্ন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ বৈষম্যবিবেচনার আশ্বাস দিলে আন্দোলন শিথিল করে কাজে যোগ আন্দোলনকারিরা। কিন্তু ৬ মাসেও দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ না নেয়ায় আবারও আন্দোলনে নেমেছেন কর্মচারীরা। সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারাও কর্মবিরতি পালন করছেন। দাবি পুরণ না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রিয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্মবিরতি কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
খনির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ ছানাউল্লাহ জানান, সারাদেশের আউটসোর্সিং কর্মচারিদের সাথে খনির ২৮০ কর্মচারীও কর্মবিরতি পালন করছেন। এতে দাপ্তরিক কাজের কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে, তবে কয়লা উৎপাদনে কোন প্রভাব পড়বে না।