বাংলাদেশ

বন্ধ থাকা পাট ও চিনিকল চালুর দাবি

  প্রতিনিধি ২০ আগস্ট ২০২৪ , ৪:৫০:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

বন্ধ থাকা পাট ও চিনিকল চালুর দাবি
ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে বন্ধ থাকা পাটকল ও চিনিকলগুলো আধুনিকায়ন করে পুনরায় চালু করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধন থেকে দুটি বিষয়ে আলাদা দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধন থেকে বিষয়টি নিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন লতিফ বাওয়ানি জুটমিল ও করিম জুটমিলের শ্রমিকরা। একইসঙ্গে তারা লতিফ বাওয়ানি জুটমিল ও করিম জুটমিলসহ ২৬টি বন্ধ জুটমিল চালু করার দাবিও জানিয়েছেন তারা। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে—

লকডাউনের সময় বদলি শ্রমিকের ২০২০ সালের ২ মাসের টাকা দিতে হবে, ২০২০ সালের ১ ও ২ জুলাই দুই দিনের বেতন দিতে হবে, ২০২০ সালের একটি ফুল বোনাস দিতে হবে, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৮টি বোনাস এরিয়া দিতে হবে,  ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৪টি বৈশাখী ভাতার এরিয়া দিতে হবে, স্থায়ী শ্রমিকদের ছুটির পাওনা ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দিতে হবে।

মানববন্ধনে জানানো হয়, সাবেক সরকার বলেছিল ২ মাসের ভেতরে পাওনা টাকা দেবে এবং ৩ মাসের মধ্যে মিল চালু করবে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি ৫ বছর হয়ে গেলো।

অপরদিকে একই মানববন্ধন থেকে জানানো হয়, চিনিকল বিষয়ে পরিষদের দাবিগুলো হচ্ছে—বন্ধ সব চিনিকল চালু করতে হবে। চাকরি হারানো সব শ্রমিকের চাকরি দিতে হবে। চিনিকলের শ্রমিকদের সরকার ঘোষিত ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিতে হবে। শূন্যপদে দ্রুত জনবল দিয়ে উৎপাদনে সচলতা আনতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তাদের গ্রাচুইটি ও অন্যান্য বকেয়া পাওনা অবসরের সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে। বেসরকারি আমদানি নিষিদ্ধ করে করপোরেশনের দায়িত্বে সব চিনি আমদানি, পরিশোধন ও বিপণন নিশ্চিত করতে হবে। চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর থেকে মাড়াই মৌসুম চালু এবং মণপ্রতি ৩০০ টাকা দরে আখ মিলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাষিদের পাওনা টাকা দিতে হবে। মাড়াই শুরুর এক মাসের মধ্যে সব চাষির পুঁজি পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতি বন্ধ করে আখের সঠিক ওজন নিশ্চিত করতে হবে। রাসায়নিক সার ন্যায্য দামে সরবরাহ করতে হবে। জোনভিত্তিক হিসেবে দূরবর্তী জোনে আখ চাষিকে নিজস্বভাবে আখ মাড়াই করে গুড় করার অধিকার দিতে হবে এবং সব আখ চাষি সংগঠনের এবং সব চিনিকল শ্রমিক সংগঠনের ন্যায়সঙ্গত দাবি মানতে হবে।

আরও খবর

Sponsered content