চট্টগ্রাম

বাঁশখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ

  প্রতিনিধি ৪ মার্চ ২০২৫ , ৩:৫৫:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

বাঁশখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে প্রকাশ্য দিবালোকে মালয়েশিয়া প্রবাসী এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলা চালিয়ে স্টিলের আলমিরা খুলে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার লুটপাট ও প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দা, লোহার রড দিয়ে গুরতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি ঘরবাড়ি ভাংচুর করে ভিটা ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগও তুলে প্রবাসীর স্ত্রী।

সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের পূর্ব শীলকূপ ৯ নম্বর ওয়ার্ড হরইল্যাশিরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম এ নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী রহিমা বেগম (৩৪) বাদী হয়ে ঘটনার বর্ণনা জানিয়ে তিন জনকে নামীয় আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে হামলাকারীদের হুমকিতে সন্তানসহ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তিনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ‘বিগত ২২ ফেব্রুয়ারী তারিখে আসামী জয়নাল প্রবাসীর বাড়িতে চুরি করতে গেলে হাতেনাতে ধরা পরে। এ সময় আসামী প্রবাসীর ছেলে মারুফ কে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় বাঁশখালী থানায় আসামীর বিরোদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রবাসীর স্ত্রী রহিমা বেগম। পুলিশ অভিযুক্ত আসামী জয়নাল কে থানা আসতে বললে পূর্ব আক্রোশের জের ধরে সর্বশেষ গত সোমবার সংঘবদ্ধ আসামীরা প্রকাশ্য দিবালোকে প্রবাসীর বসতঘরে প্রবেশ করে রক্তাক্ত জখম করে, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।’

ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী রহিমা বেগম বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামীরা আমার বসতঘরে প্রবেশ করে ধারালো লম্বা দা দিয়ে আমার পায়ে আঘাত করে, মাথায় দায়ের কোপ মারে। এতে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলে স্থানীয়রা আমাকে বাঁশখালী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার মাথায় আটটি সেলাই করে। ঘটনার দিন আসামীরা আমার বাড়ির স্টিলের আলমিরা খুলে নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা ও রক্ষিত তিনভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়। এখন আসামীরা আমার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে আমাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এতে আমি ও আমার সন্তান জীবনের নিরাপত্তহীনতায় ভোগছি।’

অভিযুক্ত আসামীদের একজন মো. জয়নালের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি সদুত্তর না দিয়ে এড়িয়ে চলেন।

ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ প্রবাসীর স্ত্রীর নিরাপত্তাহীনতার প্রশ্নে ওসি বলেন, ‘এমন খবর আমার কাছে নেই। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’

আরও খবর

Sponsered content